॥ মোংলা প্রতিনিধি ॥
মোংলায় ১৫৬ শতকের একটি চিংড়ি ঘেরের জমি দখল করে নিয়েছে দূস্কৃতিকারীরা। এসময় ওই জমির মালিক হাসেম ফকিরকে বেধড়ক পিটিয়ে তার বাড়ীতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এসময় তার কাছে চার লাখ টাকা চাঁদাও দাবি করা হয়। হাসেম ফকির খুলনার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
কানাই নগর এলাকায় তার শ্বশুরকে মারধরসহ বাড়ীঘর ভাংচুর চালিয়ে তিন বিঘার ১৫৬ শতকের চিংড়ি ঘেরের জমি দখলে নেয় সেলিম, হালিম, শাহীন, সুমন, মজিবর ও মাসুমসহ ২০/২৫ জনের একদল দূস্কৃতিকারীরা।
তবে হামলাকারীদের ভয়ে তার পরিবার বাড়ী ছেড়ে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন তার জামাই হাসান কবিরাজ। সোমবার (১২ আগষ্ট) বেলা ১১ টায় মোংলা প্রেস ক্লাবে এসে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই অভিযোগ করেন। এদিন তিনি আরও বলেন, তার শ্বশুর হাসেম ফকির কয়েক দশক ধরে মোংলা শহরে শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা করে আসছিলেন।
কিন্তু গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর সোমবার (১২ আগষ্ট) সকালে উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের কানাই নগর এলাকায় তার শ্বশুরকে মারধরসহ বাড়ীঘর ভাংচুর চালিয়ে তিন বিঘার ১৫৬ শতকের চিংড়ি ঘেরের জমি দখলে নেয় সেলিম, হালিম, শাহীন, সুমন, মজিবর ও মাসুমসহ ২০/২৫ জনের একদল দূস্কৃতিকারীরা। তাদের প্রত্যেকের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল এবং তারা সবাই মোংলার কানাইনগর এলাকার বাসিন্দা বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন তিনি।
হাসান কবিরাজ আরও বলেন, হামলা ভাংচুর চালিয়ে যাওয়ার সময় তার শ্বশুরের পরিবারকে বাড়ী ছেড়ে দিতে হুমকি দেয়। বাড়ী না ছাড়লে আগুন ও পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হবে বলেও হামলাকারীরা হুমকি দেয়। এ অবস্থায় হাসেম ফকিরের পরিবার বাড়ী ছেড়ে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ ঘটনায় মোংলা থানায় ৮ জনকে আসামি করে মামলা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।