॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি ॥
ব্রা হ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ক্ষেতের শসা খাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীঘর গ্রামে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে চলে। এতে অন্তত ৯০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সংঘর্ষে আহত আরও অন্তত ৮১ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম জানান, শসা খাওয়া কেন্দ্র করে সরকার বাড়ি ও বড়বাড়ি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্র ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
পুলিশ জানায়, শ্রীঘর গ্রামের সরকার বাড়ির বাসিন্দা জুয়েল তার জমিতে শসা চাষ করেন। কয়েকদিন আগে ওই জমি থেকে শসা খেয়ে ফেলেন একই গ্রামের বড়বাড়ির মির জালালের ছেলে হৃদয়। এ ঘটনা নিয়ে সোমবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জেরে মঙ্গলবার সকালে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছেন জালাল মিয়া (৪৫), দুলাল মিয়া (৩২), শাহ আলম (৩৫), রাব্বি মিয়া (১১), আমীর আলী (৩৫), মাসুক মিয়া (৪৫) ও সাহার আলী (১৮)। তাদেরকে প্রথমে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ছাড়া সংঘর্ষে আহত আরও অন্তত ৮১ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম জানান, শসা খাওয়া কেন্দ্র করে সরকার বাড়ি ও বড়বাড়ি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্র ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে এর আগের রাতেই জেলার সরাইল উপজেলায় একটি রেস্টুরেন্টে টিস্যু চাওয়াকে কেন্দ্র করে আরও একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যেখানে অন্তত ১৫ জন আহত হন। স্থানীয়দের মতে, এসব ঘটনার পেছনে গ্রামীণ গোষ্ঠীগত বিরোধ এবং উত্তপ্ত সামাজিক পরিবেশ ভূমিকা রাখছে। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখতে প্রশাসনের তৎপরতা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি।