আগামীতে হাতিয়ায় বিএনপি’র কর্ণধার ফারহান মোহাম্মদ আজিম।। জীবনের শেষ নিঃশ্বাস থাকা পর্যন্ত হাতিয়াবাসীর সঙ্গে থাকার ঘোষণা,

হাতিয়ার মানুষ শান্তি প্রিয়। শান্তির জনপথ হাতিয়াকে অশান্ত করতে দেওয়া হবেনা। সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ অস্ত্রবাজ এবং মাদক নির্মুল করতে আইন শৃংখলা বাহীনিকে সর্বত্মক সহযোগিতা করতে হাতিয়াবাসীর প্রতি আহবান জানান। এ ক্ষেত্রে কোন অবস্থাতেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবেনা বলে উপস্থিত কর্মী সমর্থকদের সতর্ক করেন। তিনি আরো বলে,আমি হাতিয়ার সন্তান হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি কারন হাতিয়ার নাম আজ শুধু বাংলাদেশে-ই নয় বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত রাষ্টের মানুষের মুখে মুখে ও হাতিয়ার নাম উচ্চারিত হয়।

দেশের উন্নয়নের অনেক কাজ এখনো বাকী। আধুনিক সুবিধা বঞ্চিত হাতিয়া বাসীর ভাগ্য উন্নয়নে অনেক কাজ করতে হবে। হাতিয়ার উন্নয়ন ও অসম্পুর্ন কাজ করতে তাকে সহযোগিতা করার আহবান জানান। এক্ষেত্রে হাতিয়াবাসীকে অহিংস রাজনীতিতে বিশ্বাসী হয়ে প্রত্যেক মানুষকে সৎ কর্তব্য পরায়ন ও দেশ প্রেমিক হওয়ার পরামর্শ দেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী ও তাদের দোসরদের নির্যাতনের কারণে গত কয়েক বছর এলাকায় আসতে পারেননি উল্লেখ করে বলেন, যদিও এলাকায় আসতে পারিনি কিন্তু এক মিনিটের জন্যও হাতিয়ার মাটি ও মানুষের কথা ভুলিনি।

মুঠো ফোনে প্রতি দিন প্রতিটি এলাকার মানুষের সুখ দুঃখের খোঁজ খবর নিয়েছি এবং অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছি। শুক্রবার বিকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে হাতিয়ার নিজ বাড়ী পৌর সদরের ওছখালীতে পৌঁছানোর পর প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল আজিম মহিলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে উপস্থিত সর্বস্তরের হাজার হাজার কর্মী সমর্থক ও জনতার উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সমপতি,বাস্তবতা ও রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ৩১ দফা শীর্ষক গণ সমাবেশ বিএনপির সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার মোঃ আবুল কালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ফজলুল আজিমের সহধর্মীনী বেগম শামীমা আজিম,বড় ছেলে ফারহান মোহাম্মদ আজিম, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মাওলানা আব্দুর রহিম, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইকবাল উদ্দিন রাশেদ, সাবেক কাউন্সিলর ও পৌর বিএনপির সাধারনসম্পাদক মোঃ আলা উদ্দিন আলো, রাসেলউপজেলা বি এন পির সহ সভাপতি মোঃ নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, সবেক ছাত্রদল সাধারনসম্পাদক হাসিব মাইন উদ্দিন মাহমুদ, সাবেক কাউন্সিলর এডভোকেট খন্দকার এমরান,প্রভাষক একরামুল হক, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা মিজানুর রহমান, মাষ্টার মোহাম্মদ সোলাইমান, মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, মোহাম্মদ আবদুস সামাদ, এডভোকেট নুর হোসেন সুমন, মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ এমাল উদ্দিন প্রমুখ।

দীর্ঘ একযুগ পর প্রকাশ্যে করা এটি হাতিয়ায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের উদ্দ্যেগে করা বড় কোন জনসভা। এতে নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। এদিকে জনসভাকে কেন্দ্র করে দুপুরের পর থেকে নেতাকর্মীরা হাতিয়ার তমরদ্দি, বুড়িরচর, জাহাজমারা ও সোনাদিয়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সভাস্থলে এসে উপস্থিত হন। একসময় মানুষের এই সমাগম সভাস্থল থেকে প্রধান সড়ক উপজেলার মোড় পর্যন্ত পরিপূর্ণ হয়ে যায়।

এসময় জাহাজমারা-নলচিরা সড়কে চলাচলকারী গনপরিবহনকে বিকল্প সড়কে চলাচল করতে দেখা যায়। হাসিনা সরকারের পতনের পর সাবেক সংসদ ফজলুল আজিম হাতিয়াতে এটিই দ্বিতীয়বার আসা। এর আগে তিনি সবশেষ ২০২৪ সালে ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করতে এলেও নিজ বাসভবনে কর্মকান্ড করেছিলেন।

এদিগে ২০২২ এলেও নিজ বাসভবনে কর্মকান্ড করেছিলেন। ২০১৯ সালে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন ও তার বাসভবনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সমর্থীত প্রার্থী হলেও নির্বাচনের দিন ও আগে পরে বাসা থেকে বের হতে পারেননি আওয়ামী প্রশাসনের তান্ডবে। এছাড়া তিনি ২০০৮ সনে স্বতন্ত্র ও ১৯৯৬ সালে ২ বার বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচীত হন।

আলোচনা সভা শেষে বিএন পির চেয়ার পার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় তিনি হাতিয়া পৌরসদরে নিজ বাসবভনে সর্বস্তরের জনতার সাথে মতবিনিময় করেন। এর আগে তিনি দুপুর ৩ টায় ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে হাতিয়ায় পৌছান। এসময় বি এন পির কর্মী সমর্থক ও সর্বস্তরের হাজার হাজার জনগন তাকে স্বাগত জানাতে হেলিপ্যাড মাঠে ভীড় জমান।