॥ এ আর আজাদ সোহেল, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি ॥
নোয়াখালী প্রতিনিধি নোয়াখালীর সেনবাগের লেমুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
তারা অভিযোগ করেন, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ এরই মধ্যে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পর একজন যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার পরেও তাকে নিয়োগ না দিয়ে ঘুষের বিনিময়ে বর্তমান প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীনকে নিয়োগ দিয়েছেন।
সোমবার সকাল ১০টায় বিদ্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয়রা অংশ গ্রহণ করেছেন। এ সময় তারা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন ও সভাপতি মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাত, নির্মাণাধীন বিদ্যালয়ের ভবনের ঠিকাদার থেকে উৎকোচ গ্রহণসহ নানাবিধ অভিযোগ তুলে ধরেন।
সময় তারা বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম, জালিয়াতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ করেন।
তারা অভিযোগ করেন, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ এরই মধ্যে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পর একজন যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার পরেও তাকে নিয়োগ না দিয়ে ঘুষের বিনিময়ে বর্তমান প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীনকে নিয়োগ দিয়েছেন।
এরপর থেকে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি সমন্বিতভাবে দাতা সদস্য নির্বাচন, ছাত্রছাত্রীদের উপবৃত্তির টাকায় অনিয়ম ও যেসব শিক্ষক তাদের কথায় দ্বিমত করতেন তাদের টাইমস্কেলসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা আটকে রাখেন।
এছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন পড়াশোনা ও মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের বিপর্যয় নিয়ে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে প্রধান শিক্ষক তাদেরকে শাররিকভাবে লাঞ্চিত করার হুমকি দেন। উল্লেখিত অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ নানাবিষয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বললে তিনি বিষয়গুলো অস্বীকার করেন।
অন্যদিকে সভাপতি মো. মিজানুর রহমান মুঠোফোনে আলাপকালে বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন। তিনি এ ধরনের কর্মকান্ডের সাথে তিনি সম্পৃক্ত নন বলে জানান। এ বিষয়ে সেনবাগ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তফা হোসেন বলেন, লেমুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে প্রতিবেদন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়া হয়েছে।
সে অনুযায়ী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। এলাকাবাসী উপরোক্ক অনিয়মের দায়ে প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন ও মিজানুর রহমানকে বিদ্যালয়ের সার্বিক কর্মকান্ড থেকে অপসারণের দাবি তুলেন।