॥ মোক্তার হোসেন, ষ্টাফ রিপোর্টার ॥
রা জবাড়ী জেলার পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিমাদ্রি হওলাদারসহ ৩জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা, হয়রানী ও ষড়যন্ত্র মূলক মামলার প্রতিবাদে সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে পাংশা পৌর শহরের মালেক প্লাজামামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করাসহ পুলিশের ভাবমূর্তি বিনষ্টে স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় শরিফুল ইসলামের স্ত্রী রিমা খাতুন পাংশা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিনসহ ৩জনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছে বলে
“পাংশার সচেতন নাগরিক সমাজ ও সর্বস্তরের জনগণ” এর ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে আরিফুল ইসলাম (টিপু মিয়া), এম.এ. জিন্নাহ, দেলোয়ার হোসেন সরদার, সজীব রাজা, আলমগীর হোসেন, আবু ইউসুফ ও সাগর শিকদার প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
উপস্থাপনা করেন এস.কে. রহমান। জানা যায়, রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে রবিবার (৬ এপ্রিল) পাংশা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিনসহ ৩জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা ও চাঁদাবাজীর মামলা (মিস পি নং ১১৭/২০২৫) দায়ের করেন পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউপির লক্ষèনদিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী রিমা খাতুন। ট্রাইব্যুনালের বিচারক শেখ মফিজুর রহমান মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফরিদপুর কার্যালয়ের পুলিশ সুপারকে আদেশ দিয়েছেন।
এদিকে, গত দু’দিন ধরে এ মামলার নেপথ্য নিয়ে জনমনে প্রশ্ন ওঠে। বিষয়টি পাংশা-রাজবাড়ীতে অলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, রিমা খাতুন পাংশা মডেল থানার আলোচিত মামলা নং ৩২, ধারা- ৭/৩০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০২০), তারিখ- ২৫/০৩/২০২৫ এর এজাহারনামীয় ৫নং আসামী। রিমা খাতুনসহ মামলার অপর আসামীরা হলো, মোঃ সিজান খান (১৯), রফিকুল ইসলাম অরফে মজনু (৪৫), শরিফুল ইসলাম (৩২) ও জোছনা খাতুন (৩৮)। উক্ত ৫জন আসামীর বাড়ী পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউপির লক্ষèনদিয়া গ্রামে এবং তারা একই পরিবারের। মিনি খাতুন নামের অপর এক মহিলা বাদী হয়ে উল্লেখিত ৫জনের বিরুদ্ধে পাংশা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করাসহ পুলিশের ভাবমূর্তি বিনষ্টে স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় শরিফুল ইসলামের স্ত্রী রিমা খাতুন পাংশা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিনসহ ৩জনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছে বলে সচেতন মহলের লোকজন অভিমত ব্যক্ত করেন।