॥ এ আর আজাদ সোহেল, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি ॥
নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযুদ্ধকালীন বৃহত্তর নোয়াখালীর বিএলএফ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান বেলায়েত (৭৮) ইন্তেকাল করেছেন।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। মাহমুদুর রহমান বেলায়েতের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে অসংখ্য নেতা-কর্মী ও সব শ্রেণি-পেশার মানুষ তার ঢাকার বাসায় এবং গ্রামের বাড়িতে ভিড় জমান। এ সময় এক শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
সোমবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদ উল্যাহ খান সোহেল। তিনি নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে বলেন, সোমবার সকাল ১০টার দিকে মাহমুদুর রহমান বেলায়েত ঢাকার বাসায় স্টোক করেন।
তাৎক্ষণিক পরিবারের সদস্যরা তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। মাহমুদুর রহমান বেলায়েতের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে অসংখ্য নেতা-কর্মী ও সব শ্রেণি-পেশার মানুষ তার ঢাকার বাসায় এবং গ্রামের বাড়িতে ভিড় জমান। এ সময় এক শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
মাহমুদুর রহমান বেলায়েত নোয়াখালী জেলায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসেকে ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি ছিলেন নোয়াখালী জেলা মুজিব বাহিনীর প্রধান। চৌমুহনী এসএ কলেজের সাবেক ভিপি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মাহমুদুর রহমান বেলায়েত নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি সাবেক নোয়াখালী-১০ বেগমগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন (যা বর্তমানে নোয়াখালী-৩ আসন) থেকে প্রথমবার ১৯৭৩ সালে দ্বিতীয়বার ১৯৮৬ সালে নির্বাচিত সংসদ সদস্য।
মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সহিদ উল্যাহ খান হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি জাহাঙ্গীর আলম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাত।