॥ শাহ আলম, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ॥
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার কর্তৃক এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম- ইডিপি অফিসে ভাঙচুর ও অবৈধভাবে তালা দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন সিরাজগঞ্জ প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত। ০৫ মার্চ ২০২৫.এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম- ইডিপির আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।আমি বাধ্য হয়ে, উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হই। যার মামলার নম্বর ১১৯৩৯/২০২৪. পরবর্তীতে আদালত আমাকে প্রথমে ৬ মাস সময় প্রদান করেন। এরপর এক মাসেরও অধিক সময় পর আমি অফিসে পুনরায় প্রবেশ করি। ততোদিনে আমার প্রায় সকল মেশিনারিজ নষ্ট হয়ে যায়।
ভুক্তভোগী মোঃআবু জাফর খান, নির্বাহী পরিচালক, ইডিপি সিরাজগঞ্জ লিখিত বক্তব্যে সাংবাদিকদের বলেন : আমরা আপনাদের মাধ্যমে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও সমাজসেবা অফিসারের ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে দেশবাসী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ ও তার অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আমাদের প্রতিষ্ঠান এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ইডিপি, একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, যা বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর হতে অনুমোদনপ্রাপ্ত। আমরা শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নয়ন, দক্ষতা উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ প্রদান, বেকারত্ব দূরীকরণ, দুর্যোগকালীন ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান সহ, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। ২০২১ সালের ০১ সেপ্টেম্বর থেকে আমরা সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের তৃতীয় তলা, তৎকালীন ইউএনও মহোদয়ের নিকট হতে যথাযথ চুক্তির ভিত্তিতে ভাড়া নিয়ে উপরোল্লেখিত কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি।
এমতাবস্থায় গত ০১/০৯/২০২৪তারিখে বর্তমান ইউ এনও মহোদয় আমাকে এক মাসের নোটিশে অফিস ছাড়ার সময়সীমা বেঁধে দিলে, আমি তার সাথে ব্যক্তিগত ভাবে যোগাযোগ করে লিখিত ও মৌখিকভাবে যৌক্তিক সময় প্রার্থনা করি। কিন্তু তিনি আমাকে কোন প্রকার সময় প্রদান না করে, অফিসে তালা লাগিয়ে দেন।
এ সময় সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ, এবং প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ সময় দানের সুপারিশ করলেও তিনি সকলের অনুরোধ অগ্রাহ্য করেন। উল্লেখ্য যে, সে সময় আমার অফিসের লাইট, ফ্যান, এসি,ও প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত কম্পিউটার, টিভি, মনিটর ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি চালু ছিল। এমতাবস্থায় আমি বাধ্য হয়ে, উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হই। যার মামলার নম্বর ১১৯৩৯/২০২৪. পরবর্তীতে আদালত আমাকে প্রথমে ৬ মাস সময় প্রদান করেন।
এরপর এক মাসেরও অধিক সময় পর আমি অফিসে পুনরায় প্রবেশ করি। ততোদিনে আমার প্রায় সকল মেশিনারিজ নষ্ট হয়ে যায়। পুনরায় অফিসের কার্যক্রম শুরু করলে গত ০৩/০৩/২০২৫তারিখে বিকাল 3 ঘটিকার সময় আদালতের এই স্পষ্ট নির্দেশ উপেক্ষা করে ইউ এনও এবং উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আমার অফিসের তালা ভেঙে নিজেদের তালা লাগিয়ে দিয়েছেন।
কিন্তু ৩ মার্চ ২০২৫তারিখে, নির্বাহী অফিসার ও সমাজসেবা অফিসার আমাদের অনুপস্থিতিতে অফিসের তালা ভেঙে প্রবেশ করেন এবং ভাঙচুর করে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও সম্পদ নষ্ট করেন এবং নতুন তালা লাগিয়ে দেন। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।