॥ এ আর আজাদ সোহেল, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি ॥
নোয়াখালী নোয়াখালীতে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মিদের গণগ্রেপ্তার ও থানায় থানায় গায়েবি মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্ট।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালী আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সংগঠনটির জেলা শাখার আহ্বায়ক এডভোকেট আবদুর রহমান। বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপিসহ অপরাপর সমমনা রাজনৈতিক দল ঢাকায় মহাসমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে নোয়াখালীর প্রতিটি উপজেলায় নির্বিচারে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মিদের গণগ্রেপ্তার শুরু করে পুলিশ প্রশাসন।
গত ২৮ অক্টোবর থেকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন থানায় ২২ মামলা দায়েরের তথ্য তারা পেয়েছেন। এসব মামলায় এজাহারভূক্ত আসামি করা হয়েছে ৬৪৮ জনকে। আর অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে এক হাজার ২৭১ জনকে।
ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিএনপির ৩২১ জন এবং জামায়াতে ইসলামীর ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলার প্রায় সকল থানায় গায়েবি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগের দিন ধরে এনে পরে দিন মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে ওই ঘটনায় মামলা দায়ের করে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।
গত ২৮ অক্টোবর থেকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন থানায় ২২ মামলা দায়েরের তথ্য তারা পেয়েছেন। এসব মামলায় এজাহারভূক্ত আসামি করা হয়েছে ৬৪৮ জনকে। আর অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে এক হাজার ২৭১ জনকে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মিরা আদালতে মামলার হাজিরা দিতে এসেও গ্রেপ্তারের শিকার হচ্ছেন। গতকাল বুধবার জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালথ প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ারুল হক ওরফে কামালকে।
ঘরে ঘরে তল্লাশি অভিযানের নামে জনমনে চরম ভীতি ও অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে পুলিশ। কোন সভ্য দেশে এই অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না।আবদুর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানকে ঢাকার ভাটারা থানায় একটি গাড়ি পোড়ানোর মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উক্ত মামলার এজাহারে তার নামও নেই। কারো জবানবন্দিতেও তার নাম আসেনি। অথচ তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। লিখিত বক্তব্যে অভিলম্বে মো. শাহজাহানের মুক্তি দাবি করা হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ বি এম জাকারিয়া, ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্টের যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম, সমন্বয়ক রবিউল হাসান পলাশ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্যসচিব নুরুল আমিন, মাহমুদ হাসান সাকিল, ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্টের সদস্য এডভোকেট মো.ইমাম হোসেন কাওছার প্রমুখ।