॥ আরিফুল ইসলাম আরিফ, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥
উ ল্লাপাড়া পৌরসভার নিদিষ্ট ডাম্পিং পয়েন্ট থাকলেও যেখানে সেখানে পৌরসভার বর্জ্য ফেলায় পৌর-বাসীদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় উল্লাপাড়া পৌরসভা।পৌরবাসীর অভিযোগ যেখানে সেখানে বর্জ্য ও আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। বিশেষ করে পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে বিবেচিত পৌর মুক্তমঞ্চের পাশে, ঝিকিড়া পাটবন্দরের পাশে, বিজ্ঞান কলেজের পাশে ও পৌর বাস টার্মিনালের পাশে ফেলা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বর্জ্য। দুর্গন্ধে পাশের রাস্তা দিয়ে পৌরবাসীর চলাচল করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
প্রতিষ্ঠার সময় এটি ছিল ‘গ’ শ্রেণিভুক্ত। বর্তমানে এই পৌরসভা প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে। দীর্ঘ ২৯ বছরে এখানে জনসংখ্যা বেড়েছে বেশ কয়েকগুণ। কিন্তু বাড়েনি নাগরিক সুবিধা। তার ওপর এতো দীর্ঘদিনেও আর্বজনা ফেলার নির্দিষ্ট ডাম্পিং পয়েন্ট থাকলেও সেখানে মাছ চাষ হচ্ছে।
পৌরবাসীর অভিযোগ যেখানে সেখানে বর্জ্য ও আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। বিশেষ করে পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে বিবেচিত পৌর মুক্তমঞ্চের পাশে, ঝিকিড়া পাটবন্দরের পাশে, বিজ্ঞান কলেজের পাশে ও পৌর বাস টার্মিনালের পাশে ফেলা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বর্জ্য। দুর্গন্ধে পাশের রাস্তা দিয়ে পৌরবাসীর চলাচল করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
আবাসিক এলাকার বাসিন্দারাও বর্জ্য আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। পৌরবাসী পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলার ব্যবস্থা করার জন্য অনেকবার আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু এতে কোন সাড়া দেয়নি কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে শুক্রবার সকালে গিয়ে দেখা যায় শ্রীকোলার পূর্ণীমাগাঁতী আঞ্চলিক সড়কের পাশেই রয়েছে পৌরসভার নিদিষ্ট ডাম্পিং পয়েন্ট। সেখানে প্রায় ৪০ শতাংশ জায়গাটি পৌরসভার নিদিষ্ট ডাম্পিং পয়েন্ট হিসেবে নির্মাণ করা হলেও ময়লা ফেলার পরিবর্তে সেখানে এখন মাছ চাষ করা হচ্ছে। কে বা কারা এই মাছ চাষ করছে বিষয়টি কেউ জানেন না। অথচ পৌর শহরে যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলে জন-জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে।
পৌর শহরের বাসিন্দা আলম আকন্দ, সাইফুল আকন্দ বলেন, ওভার ব্রিজের পাশেই ময়লা আবর্জনা ফেলা হয় সেখান দিয়ে হাটা চলাফেরা যায় না দূর্গন্ধর কারনে । এছাড়াও রাতে ময়লা গুলো আগুনে পোড়ানো হয় এতে সেই ধোঁয়া বাসাবাড়িতে আসে দর্গন্ধে রাতে ঘুমানো অনেক কষ্ট কর হয়ে যায়।
শ্রীকোলা ডাম্পিং পয়েন্টের পাশেই আব্দুল হাকিম নামে একজন জানান, আগে ডাম্পিং পয়েন্টে পৌরসভার ময়লা ফেলা হতো কিন্তু এখন আর ফেলে না। তবে এখানে চাষ করছে পৌরসভা থেকে। মাছ ছেড়ে বিক্রি করে।
পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম ভুঁইয়া গ্লোবাল সংবাদ কে বলেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর সম্পদ বিবরণীতে শ্রীকোলা ডাম্পিং পয়েন্ট দেখেছে। সেখানে মাছ চাষের বিষয়ে তিনি বলেন হয়তো পৌরসভার উদ্যোগে মাছ চাষ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, ৫ আগষ্টে পৌরসভার যে ড্রাম ট্রাক গুলো ছিলো সেই গুলো পুড়িয়ে গেছে তাই এখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে না। তবে মাছ চাষের বিষয়ে তিনি বলেন কারর মাছ চাষ করার সুযোগ নেই, আর যদি কেউ মাছ চাষ করলে তার বিরুদ্ধে আমাদের প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।