॥ এ আর আজাদ সোহেল, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি ॥
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থানায় পুলিশ হত্যাসহ অস্ত্র-গুলি ও মালামাল লুটের ঘটনায় জেলা পুলিশ ও সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের বিশেষ তৎপরতায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে সন্ধিগ্ধ ৩ আসামিকে।
তাদের কাছ থেকে নিহত কনস্টেবল মো. ইব্রাহিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এছাড়া ঘটনার তিনদিন পর গত ৮ আগস্ট দুপুর ১টা ৫৮ মিনিটে আসামি ইমাম হোসেন ইমনের মেসেঞ্জারে ওমর ফারুককে পাঠানো ভয়েস মেসেজ পাওয়া যায়।
সোনাইমুড়ী থানার কনস্টেবল মো. ইব্রাহিম হত্যায় জড়িত তিন আসামিকে গ্রেফতার পূর্বক তাদের কাছ থেকে নিহত পুলিশ সদস্যের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। পরে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন আসামিরা।
শনিবার (১২ অক্টোবর) সকালে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুক নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতাররা হলেন, সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ছিদ্দিকের ছেলে নাইম হোসেন (২১), জয়াগ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভাওরকোট গ্রামের আবদুল হামিদের ছেলে ইমাম হোসেন ইমন (২২) ও সোনাইমুড়ী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কৌশল্যারবাগ গ্রামের এক কিশোর (১৬)।
পুলিশ সুপার জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ২টায় সোনাইমুড়ী বাইপাস বাসস্ট্যান্ড থেকে নাইম হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যমতে সন্ধ্যায় ভাওরকোট গ্রাম থেকে ইমাম হোসেন ইমনকে এবং রাতে বাইপাস সড়ক থেকে ওই কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়।
তাদের কাছ থেকে নিহত কনস্টেবল মো. ইব্রাহিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এছাড়া ঘটনার তিনদিন পর গত ৮ আগস্ট দুপুর ১টা ৫৮ মিনিটে আসামি ইমাম হোসেন ইমনের মেসেঞ্জারে ওমর ফারুককে পাঠানো ভয়েস মেসেজ পাওয়া যায়। যাতে আসামি ইমন পুলিশ হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। এছাড়াও মোবাইলে আসামিদের একে অপরের কললিস্ট পাওয়া যায়।
পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুক আরও বলেন, ৫ আগস্ট থানায় আক্রমণ ও পুলিশ হত্যার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) আসামিদেরকে আদালতে পাঠানো হয়। তারা বিচারক আফসানা রুমির কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাদের দুজনকে কারাগারে পাঠানো এবং অপ্রাপ্তবয়স্ককে হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।