॥ এ আর আজাদ সোহেল, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি ॥
গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ব্যাপক এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ তথা তথ্যে প্রবেশাধিকারের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়ন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিতকরণের লক্ষ্যে নোয়াখালীতে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ প্রয়োগের মাধ্যমে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন’ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশেষ অতিথি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু বলেন, তথ্যে প্রবেশাধিকার বিষয়ক প্রশিণ কর্মশালার মাধ্যমে গণমাধ্যম কর্মী ও সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের জানার পরিধি আরো বেড়ে যাবে, এতে রাষ্ট্রের সুশাসন আরো দৃঢ় হবে। তিনি এরকম একটি বিষয় নিয়ে প্রশিণ কর্মশালা আয়োজনের জন্য আয়োজক সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দিনব্যাপী নাইস গেস্ট হাউজের কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও এন্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি), ফ্রেডরিখ ন্যাউম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডোম বাংলাদেশ (এফএনএফ বাংলাদেশ)-এর সহায়তায় অনুষ্ঠিত এই প্রশিক্ষণে মোট ৩৫জন জাতীয় ও আঞ্চলিক/স্থানীয় পর্যায়ের দৈনিক পত্রিকা,
অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও টেলিভিশন চ্যানেল ও জেলা প্রেস কাবের প্রতিনিধি, জেলা তথ্য কর্মকর্তা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, জেলা কালচারাল অফিসার অফিসার, দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটি’র সদস্য, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক কর্মী, আইনজীবী এবং নাগরিক সমাজ সংগঠনের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন, জেলা প্রসাশক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন নোয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু। প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বিষয়ে আলোচনা করেন, বিএনএনআরসি’র সমন্বয়ক হীরেন পন্ডিত। এসময় এফএনএফ বাংলাদেশের প্রেক্ষিত এবং কার্যক্রম উপস্থাপন করেন, সংস্থার প্রোগ্রাম ম্যানেজার ওমর মোস্তাফিজ। প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করেন, তথ্য কমিশনের পরিচালক (গবেষণা, প্রকাশনা ও প্রশিণ) ড. মো. আবদুল হাকিম ।
প্রশিণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, তথ্যের প্রবেশাধিকার সকল নাগরিকের অধিকার। এই প্রবেশাধিকারের মাধ্যমে তথ্য ভান্ডার উন্মুক্ত হয়, রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কর্মকা-ের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়। এই স্বচ্ছতার মাধ্যমে সুশাসন টেকসই হয়। প্রশিণার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তথ্য নিয়ে মূলত সাংবাদিকরাই বেশি কাজ করেন। তিনি নোয়াখালী অঞ্চলের সব ধরনের তথ্য পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বিশেষ অতিথি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু বলেন, তথ্যে প্রবেশাধিকার বিষয়ক প্রশিণ কর্মশালার মাধ্যমে গণমাধ্যম কর্মী ও সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের জানার পরিধি আরো বেড়ে যাবে, এতে রাষ্ট্রের সুশাসন আরো দৃঢ় হবে। তিনি এরকম একটি বিষয় নিয়ে প্রশিণ কর্মশালা আয়োজনের জন্য আয়োজক সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান।
প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করেন, তথ্য কমিশনের পরিচালক (গবেষণা, প্রকাশনা ও প্রশিণ) ড. মো. আবদুল হাকিম। তিনি তথ্য অথিকার আইন-২০০৯ সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের ধারনা যাচাই (প্রি-টেস্ট)-এর মাধ্যমে প্রশিক্ষনের সেশন শুরু করেন। এরপর তিনি তথ্য এবং তথ্য অধিকারের সংজ্ঞা, তথ্য অধিকারের গুরুত্ব , তথ্য প্রবেশে সুবিধা, তথ্য অধিকার আইন ২০০৯: পটভূমি এবং মৌলিক সমস্যা,তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর মূল বৈশিষ্ট্য, তথ্য অধিকারের আইনগত ভিত্তি এবং পদ্ধতি, তথ্য অধিকার আইনের ব্যবহারিক নির্দেশিকা, তথ্য খোঁজা এবং প্রাপ্তির প্রক্রিয়া / পদপে ইত্যাদি সম্পর্কে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করেন।