॥ বিশেষ প্রতিনিধি ॥
ঢাকার দোহারের পালামগঞ্জ এলাকায় এক ভ্যান চালককে ছুরিকাঘাতের মামলায় প্রধান আসামী রবিন (২০) ও তার বাবা কামাল (৪৫) কে গ্রেফতার করেছে দোহার থানা পুলিশ। রোববার দিবাগত রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
মানিকগঞ্জের বাসস্ট্যান্ড এলাকার জয়রা রোডে অবস্থিত “ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল ফ্যাকো এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার”-এ দেখা যায়। সেখানে ১০৩ নম্বর কক্ষে চিকিৎসকের চেয়ারে বসে তিনি রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছিলেন। চোখে টর্চ লাইটের আলো ফেলে, নার্স দিয়ে ড্রপ দিচ্ছিলেন। আবার কাউকে চোখে ট্রায়াল ফ্রেম লাগিয়ে ভিশন বক্সের মাধ্যমে পাওয়ার পরিমাপ করছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৩ মার্চ সন্ধ্যায় ভ্যান চালক সোহাগের সাথে দোকানে মালামাল তোলা নিয়ে কামাল ও তার ছেলে রবিনের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রবিন ধারালো ছুরি দিয়ে ভ্যানচালক সোহাগের পিঠে আঘাত করলে গুরুতর আহত হয় সে। পরে আহত সোহাগের বাবা আজাহার সরদার দোহার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার সূত্র ধরে দোহার সার্কেল এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলমের নির্দেশে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দোহার থানা ওসি রেজাউল করিমের নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার পালামগঞ্জ থেকে প্রথমে মামলার ২ নং আসামী কামালকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে মানিকগঞ্জ থেকে প্রধান আসামী শেখ রবিনকে গ্রেফতার করে দোহার থানা পুলিশ।
এবিষয়ে দোহার থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যে মামলার দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার সকালে আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।