॥ আরজু আক্তার, হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি ॥
স রকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীতে ইলিশ মাছ ধরার অপরাধে মঙ্গলবার ভোরে হাতিয়া উপজেলা মৎস্য বিভাগ ও নৌপুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর এলাকা থেকে ৫ টি ট্রলার সহ ২ টন ইলিশ মাছ ও জাল জব্দ করেছে। এসময় ওই ট্রলারের ৪৬ জন জেলে কে ও আটক করা হয়েছে।ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে হাতিয়া উপজেলার নলচিরা নৌ ঘাটে। জানা গেছে, মঙ্গলবার(২১ অক্টোবর) রাত ১২ থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান ও নলচিরা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আশীষ চন্দ্র সাহার নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
পরে আটককৃত ৫ জন জেলে কে ১৫ দিনের কারাদণ্ড ও ৩১ জন জেলে কে ১ লক্ষ ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে হাতিয়া উপজেলার নলচিরা নৌ ঘাটে। জানা গেছে, মঙ্গলবার(২১ অক্টোবর) রাত ১২ থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান ও নলচিরা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আশীষ চন্দ্র সাহার নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
আটককৃত জেলেদের ১১জনের বাড়ি হাতিয়া উপজেলার হরনী ইউনিয়নে এবং বাকি ৩৫ জনের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের কমল নগর উপজেলায়।
এদিকে, আটককৃত ট্রলারসমূহ ঘাটে আসার পর মাছগুলো হরিলুট হতে দেখা যায়। এ নিয়ে একে অপরের সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হতেও দেখা যায়।
হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান বলেন, মা ইলিশ রক্ষা ও প্রজনন মৌসুমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ২২ দিন ইলিশ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুদে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যা ৩ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। অথচ কিছু অসাধু মৎস্য আহরণকারী এ আইন অমান্য করে নদীতে মাছ শিকার করছে। যারা আইন অমান্য করবে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।