॥ এ আর আজাদ সোহেল, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি ॥
নোয়াখালী হাতিয়ার রহমানিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ এ, এইচ, এম জিয়াউল ইসলামের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে একই প্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপক ও পৌরসভা বিএনপির বহিষ্কৃত সভাপতি কাজী আবদুর রহিমের বিরুদ্ধে ।
ওই সময় অধ্যক্ষ নিচে নেমে যাওয়ার সময় দৌড়ে গিয়ে কাজী আবদুর রহিম তাকে ধাক্কা দিয়ে পেলে দেয় এবং লাথি-উষ্ঠা, কিল-ঘুষি মেরে মারধর করে। তাৎক্ষণিক অন্য শিক্ষকরা তার ভয়ে কোন প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।।
স্থানীয়র জানায়, কাজী রহিম বিএনপির দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে লিপ্ত হওয়ায় তাকে বহিষ্কার করা হয়। তবুও তার অনিয়ম কমেনি বরং আরো বহু গুণে বেড়েছে। ৫ আগষ্টের আগের তেমন প্রভাব বিস্তার না করলেও ৫ আগস্টের তার প্রভাব বিস্তারে অতিষ্ঠ হাতিয়া পৌরসভাবাসী। সাবেক এমপি প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল আজিমের নাম ভাঙ্গিয়ে সব অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছেন কাজী রহিম।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অধ্যক্ষ জিয়াউল হক হাসেম দীর্ঘ ৩মাস মেডিকেল ছুটিতে থাকার পর রোববার ৮ ডিসেম্ভর সকালে মাদরাসায় আসেন। এ সময় তাকে দেখে তিনতলায় উঠার প্রধান ফটক বন্ধ করে দিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ শুরু করে কাজী আবদুর রহিম। ওই সময় অধ্যক্ষ নিচে নেমে যাওয়ার সময় দৌড়ে গিয়ে কাজী আবদুর রহিম তাকে ধাক্কা দিয়ে পেলে দেয় এবং লাথি-উষ্ঠা, কিল-ঘুষি মেরে মারধর করে। তাৎক্ষণিক অন্য শিক্ষকরা তার ভয়ে কোন প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।
এ ঘটনায় হামলার শিকার শিক্ষক হাতিয়া থানা ও নৌক কমান্ডারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। জানা যায়, ৫ আগস্টের পর থেকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কাজী রহিমসহ কুচক্রী একটি মহল বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। অধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়ে মাদরাসার ছোট ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বিভিন্নভাবে উস্কানি দিয়ে মিছিল করায় কাজী আবদুর রহিম। অধ্যক্ষ জিয়াউল হক হাসেম পদত্যাগ করলে কাজী আব্দুর রহিম অধ্যক্ষ হবেন এই আশায় তিনি এসব করছেন বলে জানা যায়।
যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত কাজী আবদুর রহিম অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসক বরাবর। তিনি ওই তদন্ত ঠেকাতে মিথ্যাচার করছেন। তার বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা রয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
হাতিয়া রহমানিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ এ, এইচ, এম জিয়াউল ইসলামের বলেন, একটা প্রতিষ্ঠান চলাতে গেলে কোন না কোন প্রয়োজনে সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর দ্বারস্থ হতে হয়েছে। আমি কোন অনিয়মের সাথে যুক্ত নই। তিনি তার ওপর হামলার বিচার দাবি করেছেন।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মনিরুজ্জামান বলেন, শনিবার রাতে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।