Monday , 10 March 2025
পাংশার কলিমহর গোরস্থানে ইঞ্জিনিয়ার একেএম রফিক উদ্দিনের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে সোমবার দুপুরে পবিত্র কোরআন খানী ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়

পাংশায় ইঞ্জিনিয়ার রফিক উদ্দিনের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

॥  মোক্তার হোসেন,  ষ্টাফ রিপোর্টার ॥

রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার কলিমহর জহুরুন্নেছা শিক্ষা নগরী এবং ঢাকাস্থ ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্টস লিমিটেড (ডিডিসি)’র সাবেক ম্যানিজিং ডিরেক্টর, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবী ইঞ্জিনিয়ার এ.কে.এম. রফিক উদ্দিনের (পান্না মিয়া) সোমবার (৩ মার্চ) ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

তিনি আজীবন সৃজনশীলতা, মানবিক ও সামাজিক জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম এবং পেশাদারিত্বে ব্যস্ততম সময় অতিবাহিত করেছেন। নিজ গ্রামে কলিমহর জহুরুন্নেছা শিক্ষা নগরী, খলিল উদ্দিন মিয়া দাখিল মাদরাসা, নিলুফার রফিক উচ্চ বিদ্যালয়, সাঁজুরিয়া জেহরা জেরীন উচ্চ বিদ্যালয়, একেএম রফিক রফিক উদ্দিন মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, বিভিন্ন মসজিদ, গোরস্থান ও এতিমখানাসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় তার ব্যাপক অবদান রয়েছে।

এ উপলক্ষে ডিডিসির কলিমহর প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং কলিমহর জহুরুন্নেছা শিক্ষা নগরীর কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মরহুমের পারিবারিক উদ্যোগে সকালে কলিমহর গোরস্থানে মরহুম ইঞ্জিনিয়ার এ.কে.এম. রফিক উদ্দিনের কবরের পাশে পবিত্র কুরআন খানী ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় এতিমখানা ও হাফিজিয়া মাদরাসার ছাত্ররা পবিত্র কুরআন খানীতে অংশ নেয়। দুপুর ১২টায় ডিডিসির কলিমহর প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারী, কলিমহর জহুরুন্নেছা শিক্ষা নগরীর কর্মকর্তা-কর্মচারী, কলিমহর জহুরুন্নেছা কলেজিয়েট স্কুল, খলিল উদ্দিন মিয়া দাখিল মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজনের সমন্বয়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন কলিমহর জহুরুন্নেছা শিক্ষা নগর জামে মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ আলী আকবর। এছাড়া কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সন্ধ্যায় কলিমহরস্থ নিজ বাসভবনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল এবং মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকাস্থ নিজ বাসভবনে ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠান।

সন্ধ্যায় দোয়া ও ইফতার মাহফিলের একাংশ

ইঞ্জিনিয়ার এ.কে.এম রফিক উদ্দিন ১৯৪২ সালের ১৫ই নভেম্বর সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। ১৯৭২ সালে পরিশ্রম, মেধা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে তিনি ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্টস লিমিটেড (ডিডিসি) প্রতিষ্ঠা করেন। রাজধানী ঢাকার মহাখালীতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়।

তিনি আজীবন সৃজনশীলতা, মানবিক ও সামাজিক জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম এবং পেশাদারিত্বে ব্যস্ততম সময় অতিবাহিত করেছেন। নিজ গ্রামে কলিমহর জহুরুন্নেছা শিক্ষা নগরী, খলিল উদ্দিন মিয়া দাখিল মাদরাসা, নিলুফার রফিক উচ্চ বিদ্যালয়, সাঁজুরিয়া জেহরা জেরীন উচ্চ বিদ্যালয়, একেএম রফিক রফিক উদ্দিন মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, বিভিন্ন মসজিদ, গোরস্থান ও এতিমখানাসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় তার ব্যাপক অবদান রয়েছে।

পৃথিবীর বহুদেশ ও ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করে তিনি দেশের উন্নয়ন ও এলাকায় আলো ছড়ানোর কার্যক্রমে নিজেকে সম্পৃক্ত রখেছিলেন। পাংশার এয়াকুব আলী চৌধুরী স্মৃতি পাঠাগার ও ক্লাব সমৃদ্ধকরণে তিনি খ্যাতিমান লেখকদের বিপুল সংখ্যক বই ও বেশ কয়েকটি আলমারী উপহার হিসেবে প্রদান করে পাঠাগারটি সমৃদ্ধ করেছেন। ইঞ্জিনিয়ার একেএম রফিক উদ্দিনের পারিবারিক পাঠাগারেও সাহিত্য-সংস্কৃতি, দেশ-বিদেশের খ্যাতিমান লেখকদের প্রায় ১৫ হাজার বই রয়েছে। তিনি একজন সাহিত্যসেবী এবং আলোকিত মানুষ ছিলেন।

তিনি কবি জসিম উদ্দিন সাহিত্য পুরস্কার ও এয়াকুব আলী চৌধুরী সাহিত্য পদকসহ বহু পুরস্কার ও পদক লাভ করেন। ২০২২ সালের ৩রা মার্চ সকাল ৫টা ৪০ মিনিটের সময় ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে বার্ধক্য জনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

Check Also

মানিকগঞ্জে ফার্মাসিস্ট দিচ্ছেন চক্ষু চিকিৎসা

॥ বিশেষ প্রতিনিধি ॥ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট সুমন মিয়ার বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জের প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়মিত চক্ষু চিকিৎসা …