Sunday , 9 March 2025

বসন্তের রঙে রঙিন উল্লাপাড়া ঘাটিনা রেল ব্রিজের শিমুল মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে প্রকৃতিতে

॥ আরিফুল ইসলাম, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥

সন্ত এসে গেছে, আর সেই আগমনী বার্তায় প্রকৃতি যেন নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। উল্লাপাড়ার ঘাটিনা রেল ব্রিজ এবং রেলপথের ধারে শিমুলের লাল আগুনের মতো প্রস্ফুটিত ফুলগুলো বসন্তের অপরূপ রূপবৈচিত্র্যকে প্রকাশ করছে। ছড়িয়ে দেয় বসন্তের মিষ্টি আমেজ।

 

এই পড়ন্ত বিকেলে এখানে এসে যে এতটাই মনো- মুগ্ধকর পরিবেশটা ফিল করতে পারবো আসলে এটা কখনো আমি কল্পনা করতে পারি নাই এখানে আসার পর শিমুল ফুলের এত সৌন্দর্য, পাখির কিচির মিচির আওয়াজ আবার অনেক দুর-দুরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের সাথে ঘুরতে পারা আসলে এখানে এসে এবং এসব দেখে আমি খুব খুশী।

এই সৌন্দর্যের টানে প্রতিদিনই এখানে ভিড় জমাচ্ছেন প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ, ফটোগ্রাফার, পথচারী ও সাধারণ দর্শনার্থীরা। লাল রঙের গালিচার মতো বিছিয়ে থাকা শিমুল ফুলের পাপড়ির উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে অনেকে স্মৃতিচারণ করেন শৈশবের বসন্ত উৎসবের কথা। কেউ ছবি তুলছেন, আবার কেউ বা আপন মনে বসে এই মোহনীয় দৃশ্য উপভোগ করছেন।

রেল ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে দেখা যায়, সবুজ প্রকৃতির মাঝে লাল-কমলার অপূর্ব এক বিস্তার। পাখির কূজন আর হালকা বাতাসের স্নিগ্ধ পরশে জায়গাটি যেন স্বপ্নের রাজ্য হয়ে উঠেছে। বসন্তের এমন মোহনীয় দৃশ্য শুধু চোখে নয়, হৃদয়ের গভীরেও গেঁথে যায় এক অনির্বচনীয় অনুভূতি।

উল্লাপাড়ার বসন্ত যেন রূপকথার এক গল্প হয়ে থাকে, যেখানে প্রকৃতি আর মানুষের এক অনন্য বন্ধন সৃষ্টি হয়। বসন্তের মুগ্ধতাকে ভালোবাসতে এবং উপভোগ করতে ছুটে আসছে নারী পুরুষ শিশু সহ নানা বয়সী মানুষ। এখানে ঘুড়তে আসা এক নারী দর্শনার্থী গ্লোবাল সংবাদ কে জানান, আমরা বসন্তের ফুল দেখার জন্য আমরা এসেছি এখানে দুর দুরান্ত থেকে আরো অনেক মানুষ আসে এবং এখানে এসে আমার অনেক ভাল লাগছে।

প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা অনুভুতি প্রকাশ করে বেড়াতে আসা এক দম্প্রতি জানান,উল্লাপাড়া উপজেলা কেন্দ্রিক যতগুলো পর্যটন কেন্দ্র আছে বিশেষ করে বসন্ত মৌসুমে আর এই মৌসুমে আসলে সলপে ষ্টেশনের অদুরে এই ঘাটিনা রেল ব্রিজ সংলগ্ন অনেকগুলো শিমুল গাছ সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে আর এখানে প্রচুর শিমুল ফুল ফুটে আছে এবং অসাধারন সুন্দর মন্ডিত স্থানে পরিনত হয়েছে যার কারনে এখানে অনেক দূর দুরান্ত থেকে বিভিন্ন দর্শনার্থীরা বসন্তকালে বেড়াতে আসে। সব শ্রেনীর মানুষেরা এখানে আসে। চমৎকার অনুভূতি রঙিন অনুভূতি বসন্তের রঙিন ফুলের সমারোহে রঙিন অনুভুতিটা হওয়াটাই স্বাভাবিক। খুবই ভাল লাগছে।

আসলে শহরের যে কোলাহল সেখান থেকে এখানে যে মনোমুগ্ধ পরিবেশ এখানে এসে আমার নিজের অনেক ভাল লাগছে। এবং এখানে দর্শনার্থীদের দেখছি তারা বিভিন্নভাবে ফটো-শুট করা রঙিন ফুলের বেশ সমারোহ এবং আমার মনের ভিতরে থেকে আনন্দের অনুভতি সৃষ্টি হচ্ছে।

শাহজাদপুর থেকে আসা কয়েকজন দর্শনার্থীদের মধ্যে একজন বলেন, আমরা ফেসবুক এবং ইউটিউবের মাধ্যমে দেখেছি এই জায়গাটা মানুষ বেশি পছন্দ করে। আসলে চারিপাশে অনেক সুন্দর গাছ- গাছালি মানুষ খুব পছন্দ করে। একটু ঘোরার জন্য পরিবার কিংবা বন্ধু-বান্ধব সবাই এই জায়গাটি পছন্দে করে।

শিমুল ফুলের মনোমুগ্ধকর দেখতে আসা সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম বলেন, এই পড়ন্ত বিকেলে এখানে এসে যে এতটাই মনো- মুগ্ধকর পরিবেশটা ফিল করতে পারবো আসলে এটা কখনো আমি কল্পনা করতে পারি নাই এখানে আসার পর শিমুল ফুলের এত সৌন্দর্য, পাখির কিচির মিচির আওয়াজ আবার অনেক দুর-দুরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের সাথে ঘুরতে পারা আসলে এখানে এসে এবং এসব দেখে আমি খুব খুশী।

একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হামিদুল ইসলাম বলেন, আমার কাছে এতটাই ভাল লেগেছে যে, শিমুল ফুলের সৌন্দর্য দেখতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আনন্দ করার জন্য আসছে এরকম দর্শনীয় জায়গা দেশে আরেকটা নেই। আমি এখানে এসে দেখছি অনেক দুর-দুরান্ত থেকে লোক আসছে। এবং আমার কাছে অসাধারন একটা জায়গা মনে হচ্ছে।

Check Also

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

॥ শাহ আলম, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ॥ অধিকার- সমতা- ক্ষমতায়ন নারী ও কন্যার উন্নয়ন ; …