॥ মনিরুজ্জামান মনি, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি ॥
সা তক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামে সরকারি জমির উপর লাগানো ১০টি মেহগনি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।রবিউল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে আসছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সে নানা অপকর্মে জড়িত ছিল। এবার সে সরকারি ১০টি মেহগনি গাছ এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেছে সাবেক যুবলীগ নেতা তাহের মেম্বরের কাছে, জামাতের প্রভাবশালী নেতা পিকলু হাজীর মাধ্যমে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নারায়নপুর এলাকার একটি সড়কের পাশে ছোট একটি খালের দুইধারে থাকা মেহগনি গাছগুলো সম্প্রতি কেটে ফেলা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, সরকারি খাসজমির ওপর লাগানো এসব গাছ গত সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে কাটা শুরু করেন একই এলাকার মো. দিছার আলীর পুত্র মো. রবিউল ইসলাম। তাদের দাবি, গাছ কাটার কোনো অনুমতি তার ছিল না।
স্থানীয় বাসিন্দারা বাঁধা দিতে গেলে রবিউল ইসলাম তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন এবং ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটে। আবু মুসা নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “আমি তাকে গাছ না কাটতে বলি, কারণ এটা সরকারি জমি। কিন্তু সে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং বলে, ‘আমি কাটবো, পারলে ঠেকা।’”
স্থানীয়দের দাবি, রবিউল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে আসছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সে নানা অপকর্মে জড়িত ছিল। এবার সে সরকারি ১০টি মেহগনি গাছ এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেছে সাবেক যুবলীগ নেতা তাহের মেম্বরের কাছে, জামাতের প্রভাবশালী নেতা পিকলু হাজীর মাধ্যমে।
এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম বলেন, “আমি এলাকার মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য কাঁচা রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেই। গাছ কাটার অনুমতি নিতে রবিউলকে বলেছিলাম, কিন্তু সে আমার কথা শোনেনি। পরে শুনি পিকলু হাজী অনুমতি নিয়ে গাছ বিক্রি করেছে।”
তবে পিকলু হাজীর মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে ভূমি কর্মকর্তা মো. মহাসিন হোসেন বলেন, “আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং গাছের গুড়ি পড়ে থাকতে দেখি। রবিউল ইসলাম কোনো অনুমতি ছাড়াই গাছগুলো কেটেছে। আমি এসিল্যান্ড স্যারকে বিষয়টি জানিয়েছি এবং গাছগুলো স্থানীয় এক মসজিদের ইমামের জিম্মায় দিয়েছি। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক যাতে ভবিষ্যতে কেউ আর সরকারি সম্পদ আত্মসাতের সাহস না পায়।