॥ কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ॥
শ নিবার বেলা আড়াইটার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের মেছোপাড়া গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে।দ্বিতীয় স্বামীর সাথে রত্নার সম্পর্ক আছে সন্দেহে শনিবার স্বামী স্ত্রী তর্কে জড়িয়ে পড়েন এর জেরে টুটুল ক্ষিপ্ত হয়ে রত্নাকে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে নিজেও বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী মাহবুব আলম টুটুল (৩২) বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিহত রত্না খাতুন (২৫) উপজলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের মেছোপাড়া গ্রামের আমোদ মল্লিকের মেয়ে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রত্না খাতুন সঙ্গে মাহবুব আলম টুটুলে ৯ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের সাত বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। টুটুল পেশায় ভ্রাম্যমাণ মশারী বিক্রেতা। এক বছর আগে রত্না খাতুন প্রথম স্বামী টুটুলের সংসার ছেড়ে অন্য আরেকজনকে বিয়ে করেন।
সেখানে কয়েকমাস সংসার করার পর দ্বিতীয় স্বামীর সাথে রত্নার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর গত এক সপ্তাহ আগে প্রথম স্বামী টুটুলের কাছে সে ফিরে আসে। দ্বিতীয় স্বামীর সাথে রত্নার সম্পর্ক আছে সন্দেহে শনিবার স্বামী স্ত্রী তর্কে জড়িয়ে পড়েন এর জেরে টুটুল ক্ষিপ্ত হয়ে রত্নাকে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে নিজেও বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।