॥ আশিকুর রহমান জুয়েল, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥
সি রাজগঞ্জের এনায়েতপুর খুকনী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে “জুলাই গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার এবং সংখ্যানুপাতিক পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন” দাবিতে এক বিশাল গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
“জুলাই গণহত্যার সুষ্ঠু বিচার ছাড়া জাতি স্বস্তি পাবে না। দেশের জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে রাষ্ট্র সংস্কার অপরিহার্য। প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সংখ্যানুপাতিক পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চালু করতে হবে।
শুক্রবার (০৮ আগস্ট) বিকাল ৩টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এনায়েতপুর থানা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এ সমাবেশে বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে হাজারো নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত হন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও পীর সাহেব চরমোনাই মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “জুলাই গণহত্যার সুষ্ঠু বিচার ছাড়া জাতি স্বস্তি পাবে না। দেশের জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে রাষ্ট্র সংস্কার অপরিহার্য। প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সংখ্যানুপাতিক পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চালু করতে হবে।
আমরা কোনো দমন-পীড়ন বা স্বৈরশাসন মেনে নেব না। জনগণের রক্ত বৃথা যেতে পারে না, শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করতেই হবে।”
প্রধান বক্তা ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) হাজী মুফতী শেখ মুহাম্মাদ নুরুন নাবী। তিনি বলেন,
“দেশের সম্পদ লুটপাট, দুর্নীতি ও বৈষম্য দূর করতে হলে প্রথমে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। আমরা চাই, একটি জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা হোক।”
সভাপতিত্ব করেন এনায়েতপুর থানা সভাপতি মাওলানা মুফতী আলমগীর হোসাইন। বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুফতী রেজাউল করিম আবরার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—মুফতী মুহাম্মাদ মুহিবুল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার জুবায়ের ইসলাম, মাওলানা মোতালিবুর রহমান সাইফি, মুহাম্মাদ আব্দুর রহিম, মাওলানা আব্দুস সামাদ তালুকদার, মুফতী মাহমুদুল হাসান, মুফতী হাবিবুল্লাহ তালুকদার ও শেখ হাফিজুল ইসলাম।
বক্তারা আরও বলেন, “দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে জাতির গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনা এবং শহীদদের রক্তের প্রতি সম্মান প্রদর্শন আমাদের দায়িত্ব। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া মানে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করা।”
গণসমাবেশে বক্তারা আরও সতর্ক করেন, “যারা গণহত্যা, জুলুম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সব সময়ই শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলনে বিশ্বাস করে এবং জনগণের অধিকার রক্ষায় অটল থাকবে।” গণসমাবেশ শেষে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।