॥ আসাদুর রহমান হাবিব, ফুলবাড়ি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ॥
দি নাজপুর জেলার ফুলবাড়ীতে বাংলাদেশ পূঁজা উদযাপন পরিষদের ফুলবাড়ী শাখার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ পূঁজা উদযাপন পরিষদ জেলা কমিটির সভাপতি স্বরুপ কুমার বাচ্চু। সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক সনজিত কুমার রায় এর সাক্ষরিত এক চিঠিতে ফুলবাড়ী শাখা উল্লেখ্য করে ২১ সদস্যের ৩ মাস মেয়াদি আহ্বায়ক কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আশা প্রকাশ করে বলেন নতুন কমিটি ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন এবং সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অনেকেই বলেন প্রতি বছর পূঁজা উদযাপনের সময় যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, যেমন নিরাপত্তা, পরিবেশ রক্ষা, আর্থিক সংকট সমাধানে নবগঠিত কমিটি সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।
নবগঠিত বাংলাদেশ পূঁজা উদযাপন কমিটি ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আনন্দ কুমার গুপ্ত। সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন রতন চক্রবর্তী। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন শম্ভু প্রসাদ গুপ্ত, ধীরেন্দ্র নাথ সরকার,অমিত কুমার গুপ্ত, শচীন্দ্র নাথ রায়, অন্তর কুমার মহন্ত, সুমন চন্দ্র সরকার,শংকর চন্দ্র মন্ডল,পাপন সরকার,উদয় দত্ত,মুকুল চন্দ্র পাল, কুমোদ চন্দ্র রায়, নিমাই রায়, রাজকুমার রায়, সুশান্ত সরকার,ধর্মচন্দ্র বর্মন, সুধীর চন্দ্র রায়, সুজন চন্দ্র রায়, ঈশ্বর চন্দ্র রায়, ব্রজেন্দ্র নাথ রায়।
নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক আনন্দ কুমার গুপ্ত বলেন পূজা উদযাপন শুধু ধর্মীয় আচার নয় এটি আমাদের সামাজিক ঐক্য সংস্কৃতি ও প্রজন্মের ঐতিহ্য বহন করে। আমরা সেই ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখতে সকলে মিলে কাজ করব। সদস্য সচিব রতন চক্রবর্তী বলেন পূর্ণাঙ্গ কমিটি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে এবং সবার সহযোগিতায় আগামী দুর্গা পূঁজাসহ সকল উৎসব সফলভাবে সম্পন্ন করা হবে।
কমিটি গঠনের আলোচনায় স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আশা প্রকাশ করে বলেন নতুন কমিটি ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন এবং সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অনেকেই বলেন প্রতি বছর পূঁজা উদযাপনের সময় যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, যেমন নিরাপত্তা, পরিবেশ রক্ষা, আর্থিক সংকট সমাধানে নবগঠিত কমিটি সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।
ফুলবাড়ী বহুদিন ধরেই ধর্মীয় সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল উদাহরণ হিন্দু,মুসলিম,বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সম্প্রদায় একসাথে বিভিন্ন উৎসব পালন করে আসছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা কমিটির সঙ্গে সমন্বয় রেখে শারদীয় দুর্গাউৎসব সহ সকল ধরনের পূঁজা অর্চনা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করার আশ্বাস দিয়েছেন।
বাংলাদেশ পূঁজা উদযাপন নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি ইতোমধ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিটি মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন,যুবসমাজকে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে সম্পৃক্ত করা। ধর্মীয় ও সামাজিক কার্যক্রমে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো পূঁজাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় অর্থনীতি চাঙ্গা করতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা প্রদান সহ বেশ কিছু পরিকল্পনার কার্যক্রম পরিচালনা করার কমিটি টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।