॥ এম আরিফুল ইসলাম , সলঙ্গা (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥
সি রাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রাজনীতিতে আজ একটাই নাম মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে—আব্দুর রউফ। শুধু দলের কর্মী নয়, সাধারণ মানুষও বলছেন, “আমরা চাই মাদকমুক্ত, সুশৃঙ্খল সংগঠন, আর সেই নেতৃত্ব দিতে পারে শুধু রউফ।”
এলাকাবাসীর প্রত্যাশা এখন এলাকার মানুষের একটাই দাবি—রউফকে আহ্বায়ক করা হোক। তাদের বিশ্বাস, তিনি হলে ইউনিয়ন হবে চাঁদাবাজমুক্ত, অপদখলমুক্ত, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত একটি সুশৃঙ্খল সংগঠন।
রউফের রাজনৈতিক যাত্রা হঠাৎ করে শুরু হয়নি। তিনি জন্মেছেন একটি রাজনৈতিক পরিবারে। তার পিতা, মৃত আবু বক্কার, ছিলেন এলাকার গর্ব। টানা ২৮ বছর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হিসেবে তিনি সৎ ও নির্ভীক নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০১১ সালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হয়ে দেয়াল ঘড়ি প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বিপুল ভোটে। মানুষ তাকে আজও মনে রাখে আস্থার প্রতীক হিসেবে। ২০১৬ সালেও ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রমাণ করেছিলেন, তার জনপ্রিয়তা কাগজে নয়, মানুষের হৃদয়ে লেখা।
এমন একটি পরিবারের সন্তান রউফ ছোটবেলা থেকেই দেখেছেন রাজনীতি মানে শুধু ক্ষমতা নয়, মানুষের সেবা, মানুষের পাশে দাঁড়ানো। তাই তার রাজনীতি জীবন ছাত্রদল থেকে শুরু করে স্বেচ্ছাসেবক দলে দীর্ঘ পথচলায় তিনি নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছেন।
গত ষোলো বছর রউফ ও তার পরিবার নানা রকম জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা, হামলা, হয়রানি সহ—সবকিছুর মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। কিন্তু ভেঙে পড়েননি। বরং প্রতিটি আঘাতকে শক্তিতে রূপান্তর করেছেন। কর্মীরা বলেন, “রউফ ভাইয়ের জীবনযৌবন উৎসর্গিত জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে। তিনি শুধু রাজনীতি করেননি, তিনি লড়াই করেছেন।”
যখন তিনি রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ছিলেন, তখন কমিটি ছিল প্রাণবন্ত। কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামত। তার নেতৃত্বে সক্রিয়তা বাড়ত, মানুষ সংগঠনের প্রতি আস্থা রাখত। এক কর্মী স্মৃতিচারণ করে বলেন, “রউফ ভাই ছিলেন আমাদের ভরসা। তিনি শুধু নেতা নন, তিনি আমাদের বড় ভাই।”
এলাকাবাসীর প্রত্যাশা এখন এলাকার মানুষের একটাই দাবি—রউফকে আহ্বায়ক করা হোক। তাদের বিশ্বাস, তিনি হলে ইউনিয়ন হবে চাঁদাবাজমুক্ত, অপদখলমুক্ত, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত একটি সুশৃঙ্খল সংগঠন।
কেউ কেউ বলেন, “রউফের মধ্যে নেতৃত্বের যোগ্যতা আছে, অভিজ্ঞতা আছে, সবচেয়ে বড় কথা—সেবার মানসিকতা আছে। তিনি মানুষকে ভালোবাসেন, কর্মীদের পাশে থাকেন, দুঃখ-সুখে সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করেন।”
তৃণমূলের স্লোগান আজ তৃণমূল কর্মীদের মুখে মুখে একটাই স্লোগান ধ্বনিত হচ্ছে— “মাদকমুক্ত, সুশৃঙ্খল সংগঠন চাই, রউফকেই আহ্বায়ক চাই।” রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নবাসী এখন তাকিয়ে আছে সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের দিকে। তাদের প্রত্যাশা, ব্যক্তিগত স্বার্থ নয়, জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে, যোগ্য, সৎ ও ত্যাগী একজন নেতার হাতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হবে। আর তাদের বিশ্বাস, সেই যোগ্য নেতা আর কেউ নন—আব্দুর রউফ।