॥ মাসুদ রানা, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি ॥
না গরিকরা সচেতন হলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সচেতনতার অভাবে বাগেরহাট এবং মোংলা এলাকায় ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে।
শুধু সরকারি উদ্যোগ নয়, নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমেই ডেঙ্গুমুক্ত সমাজ গড়া সম্ভব। পরিচ্ছন্নতা অভিযানে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন, সম্মিলিত সচেতনতার মাধ্যমেই ডেঙ্গু ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বাজারে বেশি মানুষের চলাচল। তাই ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার জন্য এসব এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ। সচেতনতার পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পৌরসভাকে পরিচ্ছন্নতা অভিযান জোরদার করতে হবে। এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করতে হবে।
১৪ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে মোংলাপোর্ট পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের পোর্ট স্কুল মোড়ে ব্র্যাকের আয়োজনে ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার পিন্টু রঞ্জন দাস একথা বলেন।
রবিবার সকাল ১০টায় “নিজ নিজ আঙিনা পরিষ্কার রাখুন সুস্থ থাকুন”শ্লোগানে মোংলায় ৪র্থ দফায় ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জিকা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক পরিচ্ছন্নতা ক্যাম্পেইন’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর কেন্দ্রীয় নেতা পরিবেশযোদ্ধা সাংবাদিক মোঃ নূর আলম শেখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম নূর জনি, মোংলা পোর্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ শংকর বাওয়ালি, নাগরিক নেতা মোঃ মনির হোসেন টুলু, আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের পৌর সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহেল হাওলাদার, পরিবেশকর্মী হাছিব সরদার, বিডি ক্লিন’র আবু হাসান, ব্র্যাক জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য প্রকল্পের অফিসার সনৎ কুমার, যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার আবু জাফর, ফিল্ড অর্গানাইজার নূর ই আলম ও অন্যান্য ব্রাক প্রতিনিধি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিস বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বিডি ক্লিন’র সহযোগিতায় শহরের বিভিন্ন সড়কে ময়লা-আবর্জনা অপসারণ ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবার আগে প্রয়োজন নিজ নিজ আঙিনা ও আশপাশ পরিষ্কার রাখা এবং মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করা। শুধু সরকারি উদ্যোগ নয়, নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমেই ডেঙ্গুমুক্ত সমাজ গড়া সম্ভব। পরিচ্ছন্নতা অভিযানে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন, সম্মিলিত সচেতনতার মাধ্যমেই ডেঙ্গু ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।