॥ মোক্তার হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ॥
রা জবাড়ী জেলার পাংশা থানার বাহাদুরপুর ইউপির মেঘনা গ্রামে “মায়ের দোয়া মুরগী ফার্ম এন্ড হ্যাচারী” থেকে মুরগী দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করায় স্থানীয় লোকজন আনোয়ার হোসেন (৫৫) ও কামরুল হাসান (৩০) নামের ২জন প্রতারককে হাতেনাতে আটক করে বাহাদুরপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে।মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামীরা অত্র এলাকায় প্রচার করে যে, একটি মুরগী ৪শ’ থেকে সাড়ে ৪ শ’টি ডিম দেয়। প্রতিটি সদস্য ১৬টি করে মুরগী, সাথে ২টি মোরগ এবং ১টি ঘর পাবেন। যার মূল্য ১হাজার ২শত টাকা। ১ বছরের মধ্যে টাকা পরিশোধ করতে হবে।
ধৃত আনোয়ার হোসেন দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানার ধুপিপাড়া গ্রামের আবু আহমেদের ছেলে এবং কামরুল হাসান রংপুর জেলার কাউনিয়া থানার গোড়াই গ্রামের আবু কালামের ছেলে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মেঘনা গ্রামের জনৈক নবাব আলীর বসত বাড়ীর পাশে রাস্তার উপর থেকে তাদের আটক করা হয়। প্রতারণার বিষয়ে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) পাংশা উপজেলার বাবুপাড়া ইউপির সুজানগর গ্রামের সরফ আলী খার স্ত্রী রতœা বেগম (৩০) পাংশা মডেল থানায় মামলা (নং ১৮) দায়ের করেছেন। ধারা- ৪০৬/৪২০ পেনাল কোড।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামীরা অত্র এলাকায় প্রচার করে যে, একটি মুরগী ৪শ’ থেকে সাড়ে ৪ শ’টি ডিম দেয়। প্রতিটি সদস্য ১৬টি করে মুরগী, সাথে ২টি মোরগ এবং ১টি ঘর পাবেন। যার মূল্য ১হাজার ২শত টাকা। ১ বছরের মধ্যে টাকা পরিশোধ করতে হবে।
স্থানীয়রা তাদের কথায় বিশ^াস করে ঠিকানা দেয় এবং ২২জন ৫শত টাকা করে ১১ হাজার টাকা আসামীদের নিকট দেয়। আসামীরা মোবাইল নম্বর সম্বলিত “মায়ের দোয়া মুরগী ফার্ম এন্ড হ্যাচারী” নামক একটি কার্ড দিয়ে যায়। আসামীদ্বয় কথামতো মুরগী নিয়ে না আসায় কয়েকদিন অতিবাহিত হওয়ার পর বাদী ও স্থানীয় লোকজন আসামীদের দেয়া কার্ডের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করলে মোবাইল নম্বর বন্ধ পায়। পরে উল্লেখিত এলাকায় তাদের সন্ধান পেলে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করাসহ মামলা দায়ের করা হয়। পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।