॥ আরজু আক্তার, হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি ॥
মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের সময় পরিবর্তনের ( পিছানোর) দাবিতে শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর )সকালে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার কাজির বাজার ঘাটে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
বক্তারা বলেন, ভরা মৌসুমে নদী বা সাগরে এখন যে ইলিশ মাছ ধরা হচ্ছে তার অধিকাংশ মাছের পেটে ডিম নেই। তাই মা ইলিশ এখনো পরিপূর্ণ না হওয়ায় অভিযানের সময় পুনঃ বিবেচনা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি করেছেন জেলেরা। তাছাড়া পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের সঙ্গে এক ই সময়ে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান শুরু হলে ভারতীয় জেলেরা এ সময়ে সাগরে এসে মাছ শিকার করতে পারবে না।
উল্লেখ্য গত বছর মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছিল ১২ অক্টোবর থেকে। কিন্তু এ বছর তা এগিয়ে আনা হয়েছে ৪ অক্টোবর। ফলে হাতিয়ার জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা ওই তারিখ পুনঃনির্ধারণের দাবি তুলে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। হঠাৎ সরকার এবার মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান নির্ধারণ করেছেন ৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর রাত ১২ টা পর্যন্ত।
এখবরে উপকূলীয় জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীদের মধ্যে নেমে এসেছে হতাশার ছায়া। নিষেধাজ্ঞার কারণে শুধু জেলেরাই নয়,ক্ষতির মুখে পড়বেন আড়তদার ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাজারের মাছ বিক্রেতারা ও। তাই তাদের দাবি ওই সময় পরিবর্তন করে নতুন তারিখ নির্ধারণ করার। উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, চর ঈশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও মৎস্য ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম আজাদ, মৎস্য ব্যবসায়ী আকবর মেম্বার, নূর ইসলাম মেম্বার, স্থানীয় জেলে নন্দন মাঝি, শ্রী হরি জলদাস প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ভরা মৌসুমে নদী বা সাগরে এখন যে ইলিশ মাছ ধরা হচ্ছে তার অধিকাংশ মাছের পেটে ডিম নেই। তাই মা ইলিশ এখনো পরিপূর্ণ না হওয়ায় অভিযানের সময় পুনঃ বিবেচনা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি করেছেন জেলেরা। তাছাড়া পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের সঙ্গে এক ই সময়ে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান শুরু হলে ভারতীয় জেলেরা এ সময়ে সাগরে এসে মাছ শিকার করতে পারবে না।
নতুবা অভিযানের কারণে বাংলাদেশের জেলেরা যখন মাছ ধরা বন্ধ রাখবে , তখন তাদের দেশের (ভারতের) জেলেরা নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তারা সাগরে এসে দেদারছে মাছ ধরা শুরু করবে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এদেশের (বাংলাদেশের) জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা। এ ব্যাপারে হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ ফাহাদ হাসান বলেন, সরকার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই মা ইলিশ রক্ষায় এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে । এটি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে ভবিষ্যতে নদী ও সাগরে বড় ইলিশের প্রাচুর্য বাড়বে । তবে এই অভিযানের তারিখ পিছানো বা পরিবর্তনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত।