॥ মোঃ মাসুদ রানা, রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥
সি রাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ১ নং ধামাইনগর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের গোয়ালপাড়া গ্রামের সোনালী মাঠে মৌসুমি ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় দিনমজুর ও কৃষকরা।
একজন কৃষক বলেন, “ধান তুলতে গিয়েই আমাদের ন্যূনতম খরচ উঠে আসে না। বাজারে ধানের মূল্য বাড়াতে হবে, না হলে চাষ করে টিকে থাকা খুবই কঠিন।”
তবে মাঠে কাজের ব্যস্ততার মাঝেও তাদের মুখে হাসির চেয়ে বিষাদের ছাপ বেশি।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, এ বছর চাষাবাদের খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেলেও ধানের ফলন প্রত্যাশিত হয়নি। বিশেষ করে সারের দাম বৃদ্ধি, শ্রমিকের মজুরি এবং আবহাওয়ার প্রভাবের কারণে উৎপাদন ব্যয় আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি হয়েছে। কিন্তু বাজারে ধানের দাম কম থাকায় কৃষকের উৎপাদন খরচই তুলতে পারছেন না অনেকেই।
একজন কৃষক বলেন, “ধান তুলতে গিয়েই আমাদের ন্যূনতম খরচ উঠে আসে না। বাজারে ধানের মূল্য বাড়াতে হবে, না হলে চাষ করে টিকে থাকা খুবই কঠিন।”
অন্যদিকে দিনমজুর শ্রমিকরাও জানাচ্ছেন, আগে যেসব মৌসুমে কাজের চাপ বেশি থাকতো, এখন সেই কাজও কমে এসেছে। ফলে তারাও আয়ের সংকটে রয়েছেন।
কৃষক ও শ্রমিকরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন—বাজারে ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা, কৃষি উপকরণের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য ভর্তুকি বা সহায়তা প্রদান করা।
স্থানীয় কৃষকেরা আশা করছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিলে তারা পুনরায় কৃষিকাজে প্রাণ ফিরে পাবেন এবং ভবিষ্যতে টিকে থাকতে সক্ষম হবেন।
global sangbad 24 অনলাইন নিউজ পোর্টাল