॥ মোঃ মাসুদ রানা, রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥
সি রাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ৮নং দেশিগ্রাম ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামে বাংলার চিরায়ত প্রথা অনুযায়ী ধর্মীয় ও সামাজিক সৌহার্দ্যের প্রতীক ঐতিহ্যবাহী নববানের মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নবান্নের এই দিনকে ঘিরে দূরদূরান্ত থেকে আত্মীয়-স্বজনরা গ্রামের ঘরে ঘরে এসে উঠেন। প্রতিটি বাড়ি হয়ে ওঠে অতিথি আপ্যায়নে মুখর। এ যেন একদিনের জন্য পুরোনো দিনের গ্রামীণ সৌহার্দ্যের ফিরে আসা। শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতী, নারী-পুরুষ—সবাই মেতে ওঠে এক উৎসবের আবহে।গ্রামের প্রাণে বছরজুড়ে নতুন উদ্দীপনা।
তারিখ: বাংলা— মঙ্গলবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ইংরেজি— মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, হিজরি— ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি, ভোরের আলো ফোটার আগেই মেলা প্রাঙ্গণে ক্রেতা-দর্শনার্থীর ঢল নামে। গ্রামের খোলা মাঠজুড়ে তৈরি হয় আনন্দ-উচ্ছ্বাসের এক মিলনমেলা। চারপাশে কোলাহল, বিক্রেতাদের ডাক, আর মানুষের হাঁকডাকে জমজমাট হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।মেলার প্রধান আকর্ষণ—তাজা মাছের বাহার
নবান্নে মেলার সবচেয়ে বড় প্রলোভন ছিল বিভিন্ন প্রজাতির তাজা মাছ। বোয়াল, রুই, কাতলা, শোল, মাগুরসহ নানা জাতের বড়, মাঝারি ও ছোট মাছ কিনতে সকাল থেকেই ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। মাছের বহর আর দরদামের ব্যস্ততা মেলাকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। পরিবার–আত্মীয়দের মিলনমেলা
নবান্নের এই দিনকে ঘিরে দূরদূরান্ত থেকে আত্মীয়-স্বজনরা গ্রামের ঘরে ঘরে এসে উঠেন। প্রতিটি বাড়ি হয়ে ওঠে অতিথি আপ্যায়নে মুখর। এ যেন একদিনের জন্য পুরোনো দিনের গ্রামীণ সৌহার্দ্যের ফিরে আসা। শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতী, নারী-পুরুষ—সবাই মেতে ওঠে এক উৎসবের আবহে।গ্রামের প্রাণে বছরজুড়ে নতুন উদ্দীপনা। প্রতি বছরের মতো এবারও নববানের মেলা দেওড়া গ্রামে আনন্দ, উৎসব আর ঐতিহ্যের বরকত নিয়ে আসে। গ্রামবাসীর বিশ্বাস—নতুন বছরের নতুন বানের মাছ সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তির প্রতীক। তাই এই মেলাকে ঘিরে সবার মনে থাকে বিশেষ আনন্দ ও আগ্রহ।
গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রাখা এই নববানের মেলা শুধু কেনাবেচার উৎসব নয়, বরং সমাজিক বন্ধন ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের এক চিরন্তন আয়োজন—যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বয়ে চলেছে।
global sangbad 24 অনলাইন নিউজ পোর্টাল