॥ বাগেরহাট প্রতিনিধি ॥
কোটা ফেরত সহ ৭ দফা দাবিতে শাহবাগে অবস্থান ও স্মারকলিপি দেওয়ার উদ্দেশ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার অবস্থান ও স্মারকলিপি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল।
এসব দাবি না মানলে আগামী ১লা মার্চ সারা দেশে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
এ সময় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ এর পক্ষ থেকে ৭ দফা দাবী পেশ করা হয়। দাবী গুলো,
১. দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে মুক্তিযোদ্ধা কোটা কিছু কমিয়ে হলেও সকল পর্যায়ে পুনর্বহাল ও সংরক্ষণ এবং আলাদা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও প্রমোশন বঞ্চিত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রমোশন দেয়াসহ আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করতে হবে।
২. বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সুরক্ষা আইন পাশ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রেণী ও মর্যাদা নির্ধারণসহ সকল হাসপাতালে চিকিৎসা ক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধ ও বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা, স্বল্প সুদে ঋণ ও সম্মানীভাতা বৃদ্ধি করতে হবে।
৩. বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল এর কেন্দ্রীয় অফিস সহ সকল জেলা, মহানগর, উপজেলা ও থানায় অফিস দিতে হবে এবং বঙ্গবন্ধু কর্তৃক উপহার মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাষ্টের সম্পত্তি বিক্রয় না করে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করতে হবে।
৪. মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে সকল শহীদ ও মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মধ্য থেকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে অন্তত একজন সদস্যকে ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষমতা প্রদান করতে হবে এবং জীবিত ও মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সমান সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।
৫. জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের জন্য জাতীয় সংসদে কমপক্ষে ৫০টি সংরক্ষিত আসন সৃষ্টি করতে হবে এবং প্রত্যেক জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন পরিষদে ২ জন করে বীর মুক্তিযোদ্ধা বা তাদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত সদস্য পদ সৃষ্টি করার পাশাপাশি দুর্নীতি রোধ কল্পে সকল প্রতিষ্ঠানের গভর্ণিং কমিটি ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটিতে ২জন বীর মুক্তিযোদ্ধা বা তাদের সন্তানদেরকে বাধ্যতামুলক সদস্য করতে হবে।
৬. সমগ্রদেশে বীরমুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলা, নির্যাতন ও তাদের জমি দখলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিতে হবে এবং দূর্নীতি-মাদক-ধর্ষনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৭. বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তান মৃত্যুর পর তার স্ত্রী অথবা বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতিনাতনীর নামে ভাতা চালু করতেই হবে ও দেশের মেডিকেল, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল সরকারী-বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ সমূহে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য ১০% আসন বরাদ্দ রাখতে হবে।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল আয়োজিত, আজকের এই বিশাল অবস্থান ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যতম প্রতিবাদকারীর সন্তান ও সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোঃ সোলায়মান মিয়া। পরিচালনায় ছিলেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব শফিকুল ইসলাম।
এসব দাবি না মানলে আগামী ১লা মার্চ সারা দেশে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ ও সারা বাংলাদেশ থেকে আগত মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোঃ কামরুল ইসলাম, মোঃ ইমরান খান রায়হান, সজিব সরকার, মোঃ আমিনুল ইসলাম, মোঃ সাগর, এস. এম. শরিফুজ্জামান (শরিফ), মোঃ জিয়া, কাজী আলাউদ্দিন আলম, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জয়, মোঃ শাহআলম পাঠান সহ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা