॥ উত্তম সাহা, হাতিয়া প্রতিনিধি ॥
হাতিয়ায় ঢাকাগামী ফারহান-৩ নামক একটি লঞ্চের তলা ফেটে ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়। লঞ্চের তলা ফেটে পানি উঠতে থাকলে ট্রলার দিয়ে প্রায় দুইশত যাত্রীকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়। পরে লঞ্চটি দ্রুত পাশের একটি চরে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার (৫ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় হাতিয়ার তমরুদ্দি ঘাট এলাকায় নদী ভাঙ্গনরোধের ব্লকের সাথে লঞ্চের ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তার জন্য লঞ্চটি ঘাট করেছিল। কিন্তু নদী ভাঙ্গনরোধের ব্লকে সাথে ধাক্কা লেগে লঞ্চের সামনের দিকের তলা ফেটে যায়। মুহূর্তেই পানি উঠে ডুবে যেতে থাকে লঞ্চ। অবস্থা বেগতিক দেখে কিছু যাত্রী লঞ্চ থেকে নেমে যান এবং কিছু আটকা পড়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাতিয়ার তমরুদ্দি ঘাট থেকে লঞ্চটি যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা দেওয়ার কথা। ওই সময় এই লঞ্চে উঠার কথা ছিল হাতিয়ার সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউসের। তার জন্য লঞ্চটি ঘাট করেছিল। কিন্তু নদী ভাঙ্গনরোধের ব্লকে সাথে ধাক্কা লেগে লঞ্চের সামনের দিকের তলা ফেটে যায়। মুহূর্তেই পানি উঠে ডুবে যেতে থাকে লঞ্চ। অবস্থা বেগতিক দেখে কিছু যাত্রী লঞ্চ থেকে নেমে যান এবং কিছু আটকা পড়ে যায়।
ওই লঞ্চের যাত্রী ছিলেন হাতিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি কৃষ্ণ চন্দ্র মজুমদার। তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাতিয়ার তমরদ্দি লঞ্চ ঘাটে ফারহান-৩ লঞ্চের যাত্রীরা অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন। লঞ্চটি ঘাট থেকে ছাড়ার কিছুক্ষণ পর তলা ফেটে পানি উঠতে থাকে। দ্রুত কিছু যাত্রী নেমে পড়েন এবং বাকি যাত্রীদেরকে নিয়ে লঞ্চটি দ্রুত পশ্চিম দিকে একটি চরে উঠে যায়।
তিনি আরও জানান, আমি নিজে লঞ্চ থেকে নামলেও আমার ছেলে মেয়ে আটকা পড়ে। এ সময় ফারহান লঞ্চের নিচে অংশ পানিতে ডুবে যায় এবং যাত্রীদের মধ্যে কান্নার রোল পড়ে যায়। পরে অন্য একটি ট্রলার যোগে ওদেরকে নিয়ে আসি এবং ঘাটে তাসরিফ লঞ্চে ঢাকার উদ্দেশ্য যাত্রা করি।
ফারহান লঞ্চের ম্যানেজার হাজী মোহাম্মাদ ফারুক খান দাবি করেন, লঞ্চের তেমন মারাত্মক ক্ষতি হয়নি, যাত্রীদেরও কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তারা নিরাপদে লঞ্চ থেকে নেমে গেছেন। পাশের একটি চরে লঞ্চটি মেরামত করা হচ্ছে, মেরামত শেষ হলে লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা করবে। কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন হাতিয়া স্টেশন জানায়, লঞ্চ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত সেখানে গিয়ে যাত্রীদের কে নিরাপদ উদ্ধার করি।