॥ মোংলা প্রতিনিধি ॥
আদালতেরমামলা জটিলতায় আটকে গেলো মোংলা বন্দরে কয়লা নিয়ে আসা লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী“এমভি পানাগিয়া কানালা” নামের বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজ। জাহাজটির বিরুদ্ধে দুই কোটি৯৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে হাইকোর্ট বিভাগে গত ১২ জুলাই চায়নার সিসিএক্সশিপিং কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিনিধি আবুল হাসান’র করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতেহাইকোর্টের বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী এই আটকাদেশ প্রদান করেণ।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মোংলা সমুদ্র বন্দর কর্তৃপক্ষকে জাহাজটির এনওসি প্রদানে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকালে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্তহারবার মাস্টার আমিনুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বন্দরসুত্রে জানায়, হত ২৬ জুন ইন্দোনেশিয়ার একটি বন্দর থেকে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ছেড়েআসে জাহাজটি। ৮ জুলাই প্রথমে চট্রগ্রাম বন্দরে ২৪ হাজার মেট্রিকটন কয়লা খালাস করে ১২জুলাই রাতে ৩১ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়ায় এসে কয়লা খালাসের জন্য অবস্থান নেয়।
রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৩১ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মোংলাসমুদ্র বন্দরে আসা লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি পানাগিয়া কানালাবৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মোংলা বন্দরের ১১ নম্বর এ্যাঙাকারের বয়ায় কয়লা খালাস শুরু করে।
কিন্ত পাওয়া টাকার জন্য জাহাজটির বিরুদ্ধে আটকের নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মোংলা সমুদ্র বন্দর কর্তৃপক্ষকে জাহাজটির এনওসি প্রদানে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকালে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্তহারবার মাস্টার আমিনুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জাহাজটির বিরুদ্ধে দুইকোটি ৯৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে হাইকোর্ট বিভাগে গত ১২ জুলাই চায়নারসিসিএক্স শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিনিধি আবুল হাসানের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতেহাইকোর্টের বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী এই আটকাদেশ দেন।
এ সংক্রান্ত একটি আদেশবন্দর কর্তৃপক্ষ পেয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃকলাইবেরিয়ার পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি পানাগিয়া কানালাকে আটকাদেশ প্রদান করা হয়েছে।পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত জাহাজটি যাতে মোংলা বন্দর ত্যাগ করতে না পারে সে জন্যবন্দরের সংশ্লিষ্ট বিভাগ,
কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী এবং জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্টকর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। জাহাজটির স্থানীয় শিপিংএজেন্ট টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেডের খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হকবলেন, উচ্চ আদালত জাহাজটির বিরুদ্ধে আটকাদেশ দিয়েছেন।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এমন একটিচিঠি দিয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার থেকে খালাস শুরু হওয়া কয়লা এ পর্যন্ত প্রায় ১৫, থেকে ১৮মেট্রিক টন খালাস করা হয়েছে। তবে জাহাজ থেকে আনা কয়লা খালাসে কোন সমস্যা হবে না।
নির্দিষ্টসময়ের মধ্যে জাহাজটির খালাস কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। কয়লাগুলো বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়াহবে। আমাদের জানা মতে যারা আদালতে মামলা করেছে, জাহাজ মালিক এরই মধ্যে তাদের সাথেযোগাযোগ শুরু করেছে।
তবে আশা করা যাচ্ছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পাওনাদারের সাথেতাদের একটা সমোজতা হবে। আর আদালতের মাধ্য তা সমাধান হলে জাহাজটি মোংলা বন্দরত্যাগ করবে।