॥ জি এম শাকিল, চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি ॥
চাটখিলে অর্ধশতাধিক চুরির ঘটনার পর অবশেষে ধরা পড়লো সেই চোর। আজ বরিবার (১৬ জুলাই) বিকেলে উপজেলা পরিষদের আবাসিক এলাকায় চুরির সময় তাকে হাতেনাতে ধরার পর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া।
তাকে ধরতে গেলে আসামী তাদেরকে আক্রমণ করে। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এসময় আসামী উপজেলা থেকে বিগত সময়ে চুরি করার কথাও স্বীকার করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামী মো. মাসুদ রানা (৪৫) নোয়াখালী সদর উপজেলার ৮ নম্বর এওজবালিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম এওজবালিয়া গ্রামের মো. শাহাদাত হোসেনের সন্তান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, আশেপাশে কিছু চুরির ঘটনার প্রেক্ষিতে চোরের গতিবিধির উপর বিগত কিছুদিন যাবত অনেকেই নজর রাখছিলেন। রবিবার বিকেলে পৌরবাজারে একটি অনুষ্ঠানের মাইকের উচ্চ শব্দের ভিতরে চাটখিল উপজেলা পরিষদের আবাসিক কোয়ার্টার শিউলি ভবনের দোতলা থেকে বাসার আসবাব খুলে নিচ্ছিলেন আসামী মো. মাসুদ রানা।
এসময় ভবনে অবস্থানরত ব্যক্তিরা তাকে ধরতে গেলে আসামী তাদেরকে আক্রমণ করে। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এসময় আসামী উপজেলা থেকে বিগত সময়ে চুরি করার কথাও স্বীকার করেন।
চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘চুরি করার উদ্যোগ নিয়ে আবাসিক এলাকার এক বাসিন্দাকে আক্রমণের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামীকে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ অনুযায়ী এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এরপর পুলিশ হেফাজতে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।’
চাটখিল থানা সূত্রে জানা যায়, আসামি মাসুদ রানা ইতোপূর্বে ২০১৮ সালে চাটখিল থানায় মাদক মামলায় এবং ২০২০ সালে সেনবাগ থানায় চুরির মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাভোগ করেছে।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাসে উপজেলা পরিষদের ভিতরে ও আশপাশে বিভিন্ন আসাবিক ভবন, অফিস কক্ষ ও হল রুমে মালমাল চুরি হয়। এছাড়াও চাটখিল বাজারে ২০টির বেশি এসির আউটডোর চুরি হওয়ার পর বাজারের ব্যবসায়ীরা চোরের ভয়ে এসির আউটডোর খুলে ফেলার মতো ঘটনাও ঘটে। সবমিলিয়ে বিগত কয়েক মাসে উপজেলা পরিষদ ও চাটখিল পৌরবাজারে অর্ধশতাধিক চুরির ঘটনা ঘটেছিলো।