॥ জি এম শাকিল, চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি ॥
চাটখিলের নোয়াখোলা ইউনিয়নের সোনাচাকা গ্রামের বাগিচা বাড়িতে এসে মারাত্মকভাবে হামলার শিকার হয়েছে এক বাবা। আহত তরুন বয়সী বাবা মো. মনোয়ার হোসেন (২৫) লক্ষীপুর জেলার পোদ্দার বাজার এলাকার মদনপুর গ্রামের কাজী বাড়ির মো. আবদুস সালামের চার সন্তানের মধ্যে কনিষ্ঠ সন্তান।
আহত মনোয়ার জানান তিনি দুই সন্তানের জনক। তার বড় সন্তান চার বছর বয়সী কাজী আবদুল মোতালেব ও ছোট সন্তান দেড় বছর বয়সী কাজী আবু তালেব।
আজ রবিবার (২৩ জুলাই ) এই ঘটনায় চাটখিল থানায় শ্বশুর পক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন আহত বাবা। এরই মধ্যে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে রুহুল আমীন (৫৫) নামের তার শ্বশুর পক্ষের এক প্রতিবেশিকে গ্রেফতার করেছে।
আহত মনোয়ার জানান তিনি দুই সন্তানের জনক। তার বড় সন্তান চার বছর বয়সী কাজী আবদুল মোতালেব ও ছোট সন্তান দেড় বছর বয়সী কাজী আবু তালেব। তিনি তাদের সাথে দেখা করার জন্য শনিবার (২২ জুলাই) নোয়াখালী চাটখিলে তার শ্বশুর বাড়িতে আসেন।
উপজেলার নোয়াখালা ইউনিয়নের সোনাচাকা গ্রামের বাগিচা বাড়ির মৃত আবুল কাশেমের মেয়ে শাহী মনি (২৩) এর সাথে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ঢাকায় থাকাকালীন সময়ে তার বিয়ে হয়।
আহত মনোয়ার অভিযোগ করে বলেন শনিবার বিকেলে তিনি তার স্ত্রী শাহী মনি ও দুই বাচ্চাকে দেখতে তার গ্রামের বাড়ি পোদ্দার বাজার এলাকা থেকে চাটখিলে তার শ্বশুর বাড়িতে আসেন। শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছালে তাকে তার শাশুড়ী মনোয়ারা বকুল ও তাদের বাড়ির লোকজন হামলা করে তাকে মারাত্মকভাবে আহত করে ।
পরে তিনি আহত অবস্থায় স্থানীয় মানুষের সহায়তায় চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে ভর্তি হন। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই শ্বশুর পক্ষের সাথে তার টানাপোড়েন থাকায় তিনি এর আগেও কয়েকবার হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। ২০২২ সালের মার্চ মাসে তিনি শ্বশুর পক্ষের হামলার শিকার হয়ে সাভার থানায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।
চাটখিল থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত প্রতিবেশি রুহুল আমীন (৫৫) নামের এক জনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।’