॥ মাসুদ রানা, মোংলা প্রতিনিধি ॥
মোংলায় রাসয়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার দিয়ে কৃষি উৎপাদনকৃত সাক-সবজী ও বিভিন্ন ফলমুলের পশড়া বাসিয়ে দিনব্যাপি ইকো মেলা ও পন্য প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৪ জুন) উপজেলা হল রুমে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ফর সাসটেনেইবেল ডেভেলপমেন্ট (বিএএসডি) ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
এ মেলায় নারী-পুরুষদের সমন্নয় উৎপাদিত রাসয়নিক সার ও কিটনাশক ব্যাবহার না করে নিজেদের হাতে তৈরী করা জৈব সার দিয়ে উৎপাদিত সাক সজবী ও ফল সহ বিভিন্ন কৃষি পন্য নিয়ে আয়োজন করা হয় ইকো মেলা। এখানে এসকল কৃষিজাত পন্য নিয়ে ১২টি গ্রামের ২৪ টি দলের স্টল বসেছিল। বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা বিএএসডি মোংলা এলাকার মাটি, পানি, বায়ু ও আগুন এ ৪টি বিষয়ের উপর দীর্ঘদিন থেকে “শুধু একটাই পৃথিবী” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন ও এ উন্নয়ন সংস্থাটি।
মোংলা উপজেলার সুন্দরবন, চিলা ও দাকোপের পরিবেশ বান্ধব দলের সদস্য বৃন্দদের নিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেণ তারা। ক্লাইমেট চেঞ্জ রেজিলিয়েন্স ফুট সিকিউরিটি (সিসিআরএফএস) প্রকল্পের সহায়তায় সোমবার দুপুর থেকে উদ্যোক্তা ও বিভিন্ন স্থান থেকে আগত দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয় ইকো মেলা প্রাঙ্গণ। দর্শনার্থীরা বিভিন্ন পণ্য দেখেন প্রয়োজন অনুযায়ী ক্রয় করেন। দীর্ঘদিন পরে বিএএসডি’র উদ্যোগে এমন আয়োজনে খুশি আগত দর্শনার্থীরা।
এ ইকো মেলায় জ্যোতি হালদালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিাত ছিলেন উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্ন্া। বিষেশ অতিথি সুন্দরবন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইকরাম ইজারাদার, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ইশরাত জাহান, সময় টেলিভিশনের ষ্টার্ফ রিপোর্টার মাহমুদ হাসান, প্রকল্প ব্যাবস্থাপক মিঃ পরিতোষ কুমার মৃধা, প্রকল্প অফিসার সমীর কুমার দাশ সহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রজেক্ট ম্যানেজার পরিতোষ কুমার মৃধা। মেলা পরিদর্শন শেষে সমাজের বৈষম্য নিরসনে ও নারী অধিকার উপলক্ষে জারিগান পরিবেশন করা ও পুরুস্কার বিতারণ করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বলেন, মোংলা উপজেলা ও উপকুলীয় এলাকায় লবনাক্ততা বেড়েই চলছে। তাই ধান, শাক-সবজী সহ কোন কৃষি ভাল হচ্ছে না। যতটুকু হচ্ছে তার মধ্যে কিটনাশক ও রাসয়নিক সার ব্যাবহার করছে কৃষকরা। তাই বেসরকারী উন্নিয়ন সংস্থা বিএএসডি দীর্ঘদিন থেকেই রাসয়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার তৈরী করছে এবং তা দিয়ে সবজী ও ফলমুল সহ বিভিন্ন কৃষি উৎপাদন করছে এলাকাবাসী। এটা নিয়ে পুরো উপজেলায় সারা ফেলছে সকলের মাঝে।
বাজার থেকে নিজ হাতে সাক-সবজী ও মাছ মাংস সহ যা কিছু কিনে আনছি সবকিছুই বিশ যুক্ত। সেখান থেকে আমাদের ফিড়ে আসার এখনই সময়, যদি সুস্থ্য থাকতে চাই এবং আগামী প্রজন্মকে বাচাঁতে হলে কিটনাশক ও রাসয়নিক সার আমাদের এখনই বর্জন করতে হবে। তাই এ পদ্ধতির সাথে সমন্নয় রেখে যারা রাসয়নিক সার ও কিটনাশক পরিবর্তন করে জৈব সার দিয়ে ফসল উৎপাদন করবে তাদের সহায়তার জন্য উপজেলা প্রশাসন সব সময় পাশে থাকবে বলেও জানায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।