॥ সাদ্দাম উদ্দিন (রাজ), নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি ॥
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের হিন্দু পাড়া গ্রামের আট বছর পূর্বে জহর লাল বিশ্বাসের ছেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র পড়ুয়া তাপস বিশ্বাসকে গলাকাটার হত্যার মূল অন্যতম পরিকল্পনাকারী পবিত্র বিশ্বাস। বিজ্ঞ আদালতে চূড়ান্ত রায় ঘোষণার পূর্বই আসামীরা পলাতক ছিলেন।
দুই মাস পরই শীর্ষ চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদেরকে চাঁদা না দিলে বিজ্ঞ আদালত ও থানার স্বীকারোক্তিতে আরেকজন আসামী হৃদয় বিশ্বাস তাঁর ছেলেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে মোট পাঁচজন মিলে তাঁকে নৃশংসভাবে গলাকেটে হত্যা করে
তাপস বিশ্বাসের মূল হত্যাকারীর সহধর্মিণী মমতা রাণী বিশ্বাস বর্তমানে দিনরাত ভর শীর্ষ চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীকে নিয়ে ও মাদক ব্যবসা মহোৎসব চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । সরেজমিনে দেখা যায় যে, তাদের ভয়ে কেউ কথা বলতে চাই না, মমতা রাণী বিশ্বাস শীর্ষ চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীকে নিয়ে মাদক ব্যবসা মহোৎসব চালাচ্ছেন।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, আট বছর পূর্বে জহর লাল বিশ্বাসের মোবাইল ফোনে হঠাৎ অপরিচিত নাম্বারে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে, চাঁদা না দিলে তাঁর ছেলেকে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়।ঠিক তখন ভুক্তভোগী তাঁর মোবাইল ফোনের অপরিচিত নাম্বারটি দিয়ে থানায় একটি জিডি করে। দুই মাস পরই শীর্ষ চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদেরকে চাঁদা না দিলে বিজ্ঞ আদালত ও থানার স্বীকারোক্তিতে আরেকজন আসামী হৃদয় বিশ্বাস তাঁর ছেলেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে মোট পাঁচজন মিলে তাঁকে নৃশংসভাবে গলাকেটে হত্যা করে পবিত্র বিশ্বাসের কলাবাগান ক্ষেতে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র পড়ুয়া তাপস বিশ্বাসের মরদেহ ফেলে রাখে। বিজ্ঞ আদালতে চূড়ান্ত রায় ঘোষণার পূর্বে পবিত্র বিশ্বাসসহ কয়েকজন আসামীরা পালিয়ে ভারত পলাতক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মমতা রাণী বিশ্বাস জানান, ২০১৬ সালে আমার স্বামী পবিত্র বিশ্বাসকে তাপস বিশ্বাসের গলাকাটা হত্যার আসামী ছিলেন।বর্তমানে তাঁর স্বামীসহ কয়েকজন আসামীরা ভারত পলাতক আছেন।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক স্থানীয় এলাকা বাসিন্দারা জানান, আট বছর পূর্বে জহর লাল বিশ্বাসের ছেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র পড়ুয়া তাপস বিশ্বাসকে পবিত্র বিশ্বাসসহ আরও কয়েকজন আসামীরা নৃশংসভাবে গলাকেটে হত্যা করে। তাপস বিশ্বাসের হত্যাকারীরা বিজ্ঞ আদালতে চূড়ান্ত রায় ঘোষণার পূর্বই ভারত পলাতক আছে। মমতা রাণী বিশ্বাস বর্তমানে শীর্ষ চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীকে নিয়ে মাদক ব্যবসা মহোৎসবে বিরাজমান চালাচ্ছেন।
বিশেষ সূত্রে আরও জানা যায়, সমাজে শীর্ষ চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীকে নিয়ে মক্ষীরানি রাতভর ও তারুণ্যের যুবকদেরকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে আসক্ত করে মাদক ব্যবসা মহোৎসব চালাচ্ছেন।
তাছাড়া আরও জানান, আমাদের এই ইউনিয়নকে দ্রুত আইন প্রশাসনের সহযোগিতায় শীর্ষ চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসা মহোৎসব চিরতরে মুক্ত ও রক্ত চক্ষু রাক্ষসী হাত থেকে রক্ষা করার কামনা করেন।