॥ সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি ॥
সাতক্ষীরায় গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় রাস্তায় নেমেছে শিক্ষার্থীরা। এতে যান চলাচলে অনেকটাই গতি ফিরেছে। একই সঙ্গে সড়কে সেই চিরচেনা যানজট না থাকায় স্বস্তি দেখা গেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। অপরদিকে,পুলিশবিহীন সদর থানা প্রহরার দায়িত্ব নিয়েছে আনছার সদস্যরা।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সাতক্ষীরা জেলাজুড়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতার হামলা ও সহিংসতায় আওয়ামী লীগের সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১০ জন নিহত হয়। এছাড়াও বিক্ষুব্ধ জনতা সাতক্ষীরা সদর থানা, ট্রাফিক কার্যালয় ও শ্যামনগর থানায় অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বুধবার (০৭ আগষ্ট) সকাল থেকে সাতক্ষীরা শহরের পাকাপোল মোড়, খুলনা রোড মোড়, জজকোর্ট, সদর হাসপাতাল সম্মুখ সড়ক, এসপি বাংলো সম্মুখ সড়ক ও বড় বাজার সড়কের যানজট নিরসনে কাজ করছে শিক্ষার্থীর। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানায়, শহরে ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্বে না থাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়ে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছিল। এ কারণে তারা গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলোতে যানজট নিরসনের জন্য কাজ করছে। কোটা আন্দোলনের সময় শহরের বিভিন্ন স্থানে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে শহরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ইটের খোয়াসহ বিভিন্ন সামগ্রী। এসব ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে ঝাড়ু দেওয়া হচ্ছে।
বেলচা দিয়ে রাস্তার পাশের ময়লা, ফুটপাতে পড়ে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার করে পৌরসভার ময়লার স্তূপে রাখা হচ্ছে।’ এ কর্মসূচি চলমান থাকবে বলেও জানায় শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, সাতক্ষীরার সরকারি অফিসগুলো খুলতে দেখা গেছে। সাতক্ষীরা সদর থানায় নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে আনসার ব্যাটালিয়ন। সাতক্ষীরা আনছার ব্যাটালিয়নের নায়েব সুবেদার লুৎফর রহমান বলেন, ‘সদর থানায় বর্তমানে পুলিশ নেই। আমার নেতৃত্বে ৬ জন আনসার সদস্য থানা পাহারা দিচ্ছি। যাতে করে কোনোপ্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে না হয়।’
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সাতক্ষীরা জেলাজুড়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতার হামলা ও সহিংসতায় আওয়ামী লীগের সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১০ জন নিহত হয়। এছাড়াও বিক্ষুব্ধ জনতা সাতক্ষীরা সদর থানা, ট্রাফিক কার্যালয় ও শ্যামনগর থানায় অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর থানা ও শ্যামনগর থানায় কোনো পুলিশ সদস্য নেই।