Saturday , 21 December 2024

মোংলায় ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে গাফিলতি ও কর্তব্য অবহেলার অভিযোগ

॥ মাসুদ রানা, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি ॥

দেশের দ্বিতীয় সামুদ্রিক বন্দর শহর মোংলায় ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের দরুণ নাগরিক জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ এই আছে তো এই নেই, যেন ভেলকিবাজি অবস্থা। সামান্য বাতাস বা ঘুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতেও ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে। দেশের দ্বিতীয় সামুদ্রিক বন্দর শহর মোংলায় ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের দরুণ নাগরিক জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ এই আছে তো এই নেই, যেন ভেলকিবাজি অবস্থা। সামান্য বাতাস বা ঘুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতেও ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে।

 

সকাল, দুপুর, বিকেল, সন্ধ্যা, গভীর রাত, ভোর রাত এমন কোন সময় নেই যে বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলা চলে। সামান্য বাতাস বা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হলেই বিদ্যুৎ চলে গিয়ে দীর্ঘ সময় সরবরাহ বন্ধ থাকছে।

পূর্ব কোন ঘোষণা ছাড়াই দিন ও রাতের বিভিন্ন সময়ে বিদ্যুৎ থাকছে না। স্থানীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীদের উদাসীনতা আর কর্তব্য অবহেলার ফলে সরবরাহ লাইনে ত্রæটি থাকায় দিনের পর দিন এ অবস্থা চলে আসছে বলে সাধারণ গ্রাহকরা অভিযোগ করেছেন। পরিস্থিতির উন্নতিতে বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্টদের নামে মাত্র রুটিন ওয়ার্ক ছাড়া বাস্তবে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সর্বশেষ গত শনিবার থেকে গতকাল সোমবার বিকেল পর্যন্ত শহর ও শহরতলীতে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিঊশন কোম্পানী লি. (ওজোপাডিকো) এর অধীন মোংলা বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিস পরিচালিত হয়ে আসছে। গ্রামাঞ্চলে পল্লী বিদ্যুতের লাইন হলেও পৌর শহর এলাকায় এদের সরবরাহ লাইন থেকে গ্রাহকরা বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকেন। মোংলা বিদ্যুৎ সরবরাহের অধীন প্রায় ৫ সহস্রাধিক গ্রাহক রয়েছে। এখান থেকে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ১২ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিভাগ আয় করে থাকে।

এদিকে মোংলা বিদ্যুৎ সরবরাহের বিদ্যুতের লাইন রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে গ্রাহক সেবায় উদাসীনতা, কর্তব্য অবহেলা ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। এদের গাফিলতিতে গত কয়েক মাস ধরে মোংলা শহরে দিনে রাতে দফায় দফায় লাগাতার বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটছে।

সকাল, দুপুর, বিকেল, সন্ধ্যা, গভীর রাত, ভোর রাত এমন কোন সময় নেই যে বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলা চলে। সামান্য বাতাস বা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হলেই বিদ্যুৎ চলে গিয়ে দীর্ঘ সময় সরবরাহ বন্ধ থাকছে। মাঝে মধ্যে লাইন মেরামত বা সংস্কারের নামে সারা দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে রাখলেও পরে একই সমস্যা পুনরায় দেখা যায়। কেন বিদ্যুৎ চলে গেলে তা জানতে চাইলে বিদ্যুৎ কর্মীরা জানায়, কোথায় ফল্ট হয়েছে তা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না অথবা লাইন টিকছে না, তাই কখন সরবরাহ চালু হবে তা বলতে পারছি না।

অভিযোগ উঠেছে, লাইনে ত্রæটি দেখা দিলে আবাসিক প্রকৌশলী, উপ সহকারী প্রকৌশলী ও লাইনম্যানরা মাঠ পর্যায়ে তদারকিতে আসেন না। দুজন ক্যাজুয়াল ষ্টাফ দিয়ে মাঠ পর্যায়ে তার দায়সারা ত্রুটি চিহ্নিত ও তা মেরামতের কাজ করান।

মোংলা নাগরিক সমাজের আহবায়ক মোঃ নূর আলম শেখ ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের নেপথ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্তব্য অবহেলা ও গাফিলতিকে দায়ী করে বলেন, দিনে রাতে কয়েক দফায় বিদ্যুতের আসা যাওয়ায় কারণে নাগরিক জীবন প্রায় বিপর্যস্ত। দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় চলমান এইচ এস সি পরীক্ষার্থীসহ শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে। শিল্প কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়াসহ ব্যবসা বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে এসেছে।

এ ব্যাপারে মোংলা বিদ্যুৎ সরবরাহের আবাসিক প্রকৌশলী মনোয়ার জাহিদ বলেন, গ্রীড ও আবহাওয়া জনীত কারণে মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত লোকবলের অভাবে লাইনে ত্রুটি মেরামতে বেগ পেতে হয়।

Check Also

বস্তায় আদা চাষে সফল রত্না, এবার ঝুঁকেছেন আলু ও পেঁয়াজে

॥ এম আরিফুল ইসলাম, সলংগা (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের চকরসুল্লাহ গ্রামের …