॥ মোক্তার হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার ॥
রা জবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার কশবামাজাইল ইউপির লক্ষèীপুর গ্রামে ঘাস ক্ষেতের মধ্যে ১০ বছরের এক শিশু কন্যাকে জোর পূর্বক শ্লিলতাহানীর চেষ্টার অভিযোগে গত ২২শে মে একই গ্রামের প্রতিবেশী মবজেল আলী মন্ডল (৬২) নামের ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাংশা মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ১৭, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৪)খ।লক্ষীপুর গ্রামের অনেকেই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দোষী ব্যক্তিকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানায়। ভিকটিমের পরিবারও আইনগতভাবে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করে। গা ঢাকা দিয়ে থাকায় অভিযুক্ত মবজেল মন্ডলের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তার পরিবারের লোকজন ঘটনাটি বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে মন্তব্য প্রকাশ করে।
জানা যায়, গত ১৭ই মে সকালে বাড়ীর অদূরে মাঠের মধ্যে ছাগলের জন্য ঘাস আনার জন্য ওই শিশু কন্যা মাঠের মধ্যে যায়। সেখানে ঘাস দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে ওই শিশু কন্যার দু’হাত বেঁধে ও মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক শ্লিলতাহানীর চেষ্টা করে মবজেল আলী মন্ডল। মবজেল মন্ডল দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক।
এদিকে, মাঠের মধ্যে শিশুর কান্না শুনে ঘটনাস্থলের আশেপাশে থাকা লোকজন সেখানে পৌঁছিলে মবজেল মন্ডল দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় শিশুটি বাড়ীতে ফিরে পরিবারের কাছে ঘটনার বিষয়ে খুলে বলে। ভিকটিম শিশুটি স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী।
জানাজানি হলে এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। স্থানীয়ভাবে ধামাচাপা দিতে বিষয়টি মীমাংসার জন্য কয়েক দিন ধরে চেষ্টা করা হয়। এরই এক পর্যায়ে গত ২২শে মে ভিকিটিমের পিতা বাদী হয়ে মবজেল মন্ডলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের পর থানা পুলিশ সরেজমিন তদন্ত করে।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মবজেল মন্ডল গা ঢাকা দিয়েছে। লক্ষীপুর গ্রামের অনেকেই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দোষী ব্যক্তিকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানায়। ভিকটিমের পরিবারও আইনগতভাবে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করে। গা ঢাকা দিয়ে থাকায় অভিযুক্ত মবজেল মন্ডলের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তার পরিবারের লোকজন ঘটনাটি বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে মন্তব্য প্রকাশ করে।
পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন থানায় মামলা দায়েরের তথ্য নিশ্চিত করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাজ্জাদ হোসেন শাওন বলেন, ঘটনাস্থল সরেজমিন তদন্ত করা হয়েছে। মামলার আসামীকে গ্রেফতারে পুলিশের তৎপরতা চলছে। এদিকে, ঘটনার পর থেকে ভিকটিমের পরিবার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে বলে জানা গেছে।