॥সেলিম মাহমুদ, পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি ॥
রাজবাড়ী জেলার পাংশা পৌরসভাধীন কুড়াপাড়া মৌজার বিএস ১১০৪ নং দাগের উপর বসতবাড়ি ও মিশ্র ফলোজ বাগানের জমি জবর দখলসহ শান্তি ভঙ্গের আশঙ্কায় গত ৫ ডিসেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা (মিস পি নং ৫৮৮/২৩, ধারা- ১৪৪/১৪৫) দায়ের করা হয়েছে। রাশেদুলসহ ৬জনকে বিবাদী করে শামীমা নাছরিন নামের এক নারী এ মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলার অভিযোগের বিষয়ে বিজ্ঞ আদালত বিবাদী পক্ষের বিরুদ্ধে কেন ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৪/১৪৫ ধারা মতে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে না তার কারন দর্শানোর আদেশ এবং নালিশী সম্পত্তি নিয়ে পক্ষদ্বয়ের মধ্যে শান্তি ভঙ্গের আশংকা আছে কিনা সে বিষয়ে ছকাকারে প্রতিবেদনের জন্য পাংশা থানার ওসি বরাবর নথি প্রেরণ করেছেন।
বাদী শামীমা নাছরিন জানান, দাতা মোছাঃ নাছরিন সুলতানা ঝর্না গংদের নিকট হতে কুড়াপাড়া মৌজার বিএস ১১০৩ ও ১১০৪ নং দাগের ১.৭৩+২.৯২= ৪.৬৫ শতাংশ জমি ২০১৯ সালের ৬ই মার্চ তারিখে ১৬৮৯ নং সাফ কবলা দলিল মূলে আমি ও আমার পুত্র মিজানুর রহমান এবং ভাসুর পুত্র আব্দুর রাজ্জাকের নামে বিএস ১১০৩ ও ১১০৪ নং দাগের ১.৭৩+২.২৭=৪ শতাংশ জমি ২০১৯ সালের ৬ই মার্চ একই তারিখে ১৬৯০ নং সাফ কবলা দলিল মূলে মোট ৮.৬৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে ভোগদখল রত আছি। উল্লেখিত জমিতে একতলা বিশিষ্ট ভবন ও মিশ্র ফলোজ বাগান আছে।
বিবাদীরা উক্ত জমাজমি হতে আমাদেরকে বেদখলের নানা ষড়যন্ত্র করছে। একপর্যায়ে গত ৩ ডিসেম্বর বিকালে বেআইনী জনতা বদ্ধ হয়ে বিবাদী পক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে বাদীপক্ষের দখলীয় সম্পত্তি জবরদখল ও বাদীর বাড়ি সংলগ্ন বাগানের প্রবেশপথের টিনের বেড়াসহ বাগানের ক্ষতিসাধন করে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিন শামীমা নাছরিনের স্বামী হাবিবুর রহমান বলেন, প্রয়াত আব্দুল জব্বারের স্ত্রী নাসরিন সুলতানা ঝর্না, কন্যা রাজিয়া সুলতানা কনা ও জয়তুন খাতুন এবং বোন আয়শা খাতুনের নিকট থেকে সাফ কবলা দলিল মূলে মোট ৮.৬৫ শতাংশ জমি ক্রয় করা হয়।
ক্রয়ের সময়ে জমির ওয়ারিশগণ আমাদের দখল বুঝিয়ে দেয়। আমাদের ভোগ দখলীয় জমির উত্তরে বাতেন গং, দক্ষিণে আব্দুর রহমান, কাইয়ুম ও ইউনুছ, পূর্বপাশে পাকা রাস্তা এবং পশ্চিমে বাতেন গং।
মামলার অভিযোগের বিষয়ে বিজ্ঞ আদালত বিবাদী পক্ষের বিরুদ্ধে কেন ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৪/১৪৫ ধারা মতে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে না তার কারন দর্শানোর আদেশ এবং নালিশী সম্পত্তি নিয়ে পক্ষদ্বয়ের মধ্যে শান্তি ভঙ্গের আশংকা আছে কিনা সে বিষয়ে ছকাকারে প্রতিবেদনের জন্য পাংশা থানার ওসি বরাবর নথি প্রেরণ করেছেন।