॥ আসাদুর রহমান হাবিব, ফুলবাড়ি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ॥
দি নাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির পাশে পরিত্যক্ত এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (ডেটোনেটর) বিষ্ফরণে এক শিশুর ডান হাতের কব্জি ছিন্নভিন্ন হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে।
শিশু ইলিয়াস কয়লাখনি ডাম্পিং এলাকা থেকে একটি ধাতব বস্তু পেয়ে বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে কৌতুহলবসত তা নাড়াচাড়া করে মোবাইলের নষ্ট ব্যাটারীর সাথে সংযোগ দিতে গেলে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।
বিষ্ফোরণে তাঁর ডান হাতের কব্জি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষত হয়
৮ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় পার্বতীপুর উপজেলার ৯ নং হামিদপুর ইউনিয়নের চৌহাট্টি গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। আহত শিশুর নাম ইলিয়াস আলী(১০)সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের শিক্ষার্থী ও চৌহাট্টি গ্রামের মোঃ আশরাফুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ৮ জুলাই মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে শিশু ইলিয়াস কয়লাখনি ডাম্পিং এলাকা থেকে একটি ধাতব বস্তু পেয়ে বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে কৌতুহলবসত তা নাড়াচাড়া করে মোবাইলের নষ্ট ব্যাটারীর সাথে সংযোগ দিতে গেলে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।
বিষ্ফোরণে তাঁর ডান হাতের কব্জি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষত হয় পরিবারের সদস্য সহ স্থানীয়রা দ্রুত ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় খনি এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয়রা দাবি তুলেছেন খনি এলাকার পুরনো বিষ্ফোরক ও পরিত্যক্ত দ্রব্যাদী অপসারণে প্রশাসনের আরও তৎপরতা দরকার যেন এমন মর্মান্তিক ঘটনা আর না ঘটে এবং
এসব দ্রব্যাদি কিভাবে সহজেই মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে সেদিকেও খতিয়ে দেখা দরকার খনি কর্তৃপক্ষের।
এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) খাঁন মোঃ জাফর সাদিক বলেন এটি ডেটোনেটর খনির ভূগর্ভে কয়লা উত্তোলনের ক্ষেত্রে বিষ্ফোরণের কাজে ব্যবহার করা হয় এগুলো খুবই স্পর্শকাতর এগুলো কোনটি অকেজো কোনটি তাজা সাধারণ ভাবে কেউ বুঝতে পারার কথা নয় এবং বাহিরের প্রাপ্ত ডেটোনেটরে কোন সংযোগ নেই এগুলো ডাম্পিং পয়েন্ট থেকে কোন না কোন ভাবে ধাতব বস্তু হিসেবে গ্রামবাসী সংগ্রহ করেছে।
বিষয়টি কেউ আমাদের নজরে আগে কখনো আনেনি ঘটনার পর জানতে পেরে আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি এবং বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আহত শিশুর বিষয়ে তিনি বলেন আগে শিশুটির চিকিৎসা করা হোক পরে খনিকর্তৃপক্ষ তার সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে এবং পাশে থাকবে বলে জানান বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) খাঁন মোঃ জাফর সাদিক।