॥ এ আর আজাদ সোহেল, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি ॥
নো য়াখালী সু্বর্ণচর উপজেলার চর জুবলী ইউনিয়নে জমি বিক্রয় করে একের পর এক প্রতারণা, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির কর্মকান্ডসহ ব্যাপক হয়রানীর অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ও জমির খরিদদার সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের উত্তর ওয়াপদার মোহাম্মদ উল্যাহ ওরপে মোহাম্মদ উল্যাহ কোম্পানি।
বিক্রেতারা তার সাথে প্রতারনা জায়েজ করতে তাকে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। তিনি আরো বলেন, ওই সম্পত্তির বায়নার পর একপর্যায়ে, সম্পূর্ণভাবে প্রতারণা মূলক ভাবে দলিল রেজিষ্ট্রেশন দেয়ার তারিখ দিয়ে তাকে সুবর্ণচরে নিয়ে প্রাণে হত্যারও পরিকরল্পনা করেছিলেন এই বিক্রেতারা।
অভিযুক্তরা হলেন,পশ্চিম চর জুবলী গ্রামের রহমত উল্যাহ, আমানত উল্যাহ, এনায়েত উল্যাহ, আমেনা, সেতারা, শেফালি, জহুরা, পারভিন ও মরিয়ম গং।
ভুক্তভোগী জানান, সংঘবদ্ধ ঐ পরিবারের লোকজন জরুরী নগদ টাকার প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে সম্পত্তি বিক্রয়ের প্রস্তাব করলে তিনি রাজি হন। এ সময় স্থানীয় একজনের মধ্যস্থতায় তিনি সমুদয় সম্পত্তি খরিদ করার লক্ষ্যে গত ৩১ আগষ্ট ২০২৩ সালে একটা বায়না চুক্তি সম্পাদন করেন। ওই সময় পুরো পরিবার নগদ ১২ লাখ টাকা গ্রহণ করেন বাকী টাকা পরবর্তী ৮ মাসের মধ্যে পরিশোধক্রমে দলিল সম্পাদনের নিমিত্তে চুক্তিবদ্ধ হন।
মোহাম্মদ উল্যাহ বায়নাচুক্তির শর্তানুযায়ী বিগত ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমুদয় টাকা অর্থ্যাৎ সর্বমোট ৭৭ লাখ ২২ হাজার টাকা পরিশোধ করে দলিল সম্পন্ন করেন। এদিকে বায়না চুক্তিতে ১ একর ৪৩ শতক সম্পত্তির চুক্তিবদ্ধ হলেও বিক্রয়কালে দলিলে ১ একর ১৪ শতক জমির দলিল সম্পাদন করেন বিক্রেতারা। তবে তারা দলিল সম্পাদনের পর পরই সমুদয় সম্পত্তি অর্থ্যাৎ বায়নাকৃত ১ একর ৪৩ শতক সম্পত্তির পুরোটারই দখল বুঝিয়ে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ উল্যাহকে তারা প্রতিশ্রুতি দেন বাদবাকী সম্পত্তি পরবর্তীতে দলিল সম্পাদন করে দিবেন। সরল বিশ্বাসে তিনি তা মেনে নেন, স্থানীয়রা জানান, মূলত ৫ আগষ্টের পর আওয়ামী সরকারের পতনের পর জমির বিক্রেতারা নিজেদের বিএনপির-জামাত দাবি করে মোহাম্মদ উল্যাহর টাকা আর্ত্বসাতের পায়তারা করছেন। জমি বিক্রেতারা অস্বীকার করলেও স্থানীয়রা বলেছেন জমি বেচাকেনা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। অথচ এরা ইতোমধ্যে নিজেদের প্রতারনা জয়েজ করতে জমি বিক্রয় করেও রাজনীতি দেখাতে চায় ! এরা নিকৃষ্ট প্রতারক ও চাঁদাবাজ বলে মনে করছেন তারা।
এদিকে, মোহাম্মদ উল্যাহ খরিকৃত ও ভোগ দখলীয় সম্পত্তির কতেকাংশ ইতোমধ্যে বিক্রয় করলে ওই সম্পত্তির মূল বিক্রেতাদের মাথাব্যথা শুরু হয়। তারা ধান্ধাবাজি ও চাঁদাবাজির চরিত্রে ফের মোহাম্মদ উল্যাহর সাথে প্রতারনার আশ্রয় নেন।
তারা মোহাম্মদ উল্যাহকে বায়নাকৃত সম্পত্তি না দিয়ে মাত্র ১ একর ১৪ শতক জমির দালিলিক মালিকানা দিয়ে বাদবাকী সম্পত্তির দলিল না দিতে নানা ধরনের কুটকৌশল ও ফন্দি ফিকিরে লিপ্ত হয়।
মোহাম্মদ উল্যাহ জানান, তিনি ব্যংক থেকে ঋণ নিয়ে এ সম্পত্তি খরিদ করেছেন। বিক্রেতারা তার সাথে প্রতারনা জায়েজ করতে তাকে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। তিনি আরো বলেন, ওই সম্পত্তির বায়নার পর একপর্যায়ে, সম্পূর্ণভাবে প্রতারণা মূলক ভাবে দলিল রেজিষ্ট্রেশন দেয়ার তারিখ দিয়ে তাকে সুবর্ণচরে নিয়ে প্রাণে হত্যারও পরিকরল্পনা করেছিলেন এই বিক্রেতারা।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ নোয়াখালীর পুলিশ সুপার বরাবের অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি জানান, নোয়াখালীর পুলিশ সুপার বরাবরে জমি বিক্রেতাদের সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি ও প্রতারনার বিষয়ে প্রতিকার চাওয়ায় তাকে মুঠোফোনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি প্রদান করছেন তারা।
অবশ্য, চরজব্বর থানার পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে ১০৭ ও ১১৭ ফৌজদারী কার্যবিধিতে সংঘবদ্ধদের বিরুদ্ধে জেলার সংশ্লিষ্ট আমলী আদালতে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন।