॥ আরিফুল ইসলাম আরিফ, উল্লাপাড়া ( সিরাজগঞ্জ) জেলা প্রতিনিধি ॥
সি রাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদে দায়িত্বে অবহেলা ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সচিব ফরিদুল হক মিলন এবং প্রশাসক ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান মুগোল–এর বিরুদ্ধে।
অফিসে গিয়ে দেখা যায় তালা ঝুলছে বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়—ইউপি সচিব, প্রশাসক এবং সহকারী সচিবের কক্ষগুলোতে তালা ঝুলছে। শুধু খোলা ছিল ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের কক্ষ।
নিয়মিত অফিসে অনুপস্থিত থাকা এবং পরিষদের কার্যক্রমে স্বচ্ছতার ঘাটতির কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ইউপি সচিব ফরিদুল হক মিলন নিয়মিত অফিসে উপস্থিত থাকেন না। নিজের ইচ্ছামতো অফিসে এসে দ্রুতই বের হয়ে যান। একইভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক সাইদুর রহমান মুগোলও মাসে মাত্র এক-দু’দিন অফিসে আসেন। প্রশাসকের সাক্ষর নেওয়ার জন্য ইউনিয়নের বাসিন্দাদের দূরপাল্লা পাড়ি দিয়ে উপজেলা অফিসে যেতে হয়।
এর আগেও ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণের অভিযোগ জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।
অফিসে গিয়ে দেখা যায় তালা ঝুলছে বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়—ইউপি সচিব, প্রশাসক এবং সহকারী সচিবের কক্ষগুলোতে তালা ঝুলছে। শুধু খোলা ছিল ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের কক্ষ। সেখানে চেয়ারে বসে সিগারেট টানতে দেখা যায় বর্তমান উদ্যোক্তার দায়িত্বে থাকা সাব্বির হোসেনের ছোট ভাইকে। তবে উদ্যোক্তা সাব্বির নিজে অফিসে উপস্থিত ছিলেন না। কোনো ইউপি সদস্যকেও অফিসে পাওয়া যায়নি।
স্থাণীয়দের অভিযোগ, নিয়মিত কর্মচারী ও দায়িত্বপ্রাপ্তদের অনুপস্থিতির কারণে জন্মনিবন্ধন, সনদ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সেবার জন্য সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ইউপি সচিব ফরিদুল হক মিলন বলেন, “আমি এখন গাড়িতে করে বাসায় ফিরছি।” অফিসে না থাকার বিষয়ে তিনি কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।
ইউপি সদস্য নায়েব আলী বলেন, “অফিস টাইমে অফিস না করা ঠিক না। আর উদ্যোক্তার রুমে বসে সিগারেট খাওয়াও ঠিক হয়নি। তারা ভুল করেছে। আপনি রবিবার আসেন, চায়ের দাওয়াত রইলো।”
ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক সাইদুর রহমান মুগোল বলেন, “আমি নিয়মিত পরিষদে যাই না। ৫ তারিখের পর থেকে উদ্যোক্তা নেই, শুধু কম্পিউটার অপারেটর আছে। তারপরও দেখি কেউ গিয়া সিগারেট খায়—এটা বড় ভুল।”
তবে প্রশাসকের বক্তব্য প্রশ্ন তোলে—উদ্যোক্তা অনুপস্থিত থাকার পরও তার ঘরে সাব্বিরের ছোট ভাই কেন অবস্থান করছিলেন? ক্ষমতার অপব্যবহার কি ঘটছে? উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.টি.এম. আরিফ বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
স্থানীয়রা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ এবং ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।
global sangbad 24 অনলাইন নিউজ পোর্টাল