॥ মাসুদ রানা, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি ॥
বাংলাদেশে গ্যাস সম্প্রসারণের প্রতিবাদে মোংলায় এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন কর্মসূচি পালিত জীবাশ্ম জ্বালানি, বিশেষত প্রাকৃতিক গ্যাস ও এলএনজির প্রকল্পের সম্প্রসারণ এবং অর্থায়নের বিরোধিতা করে মোংলায় এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন কর্মসূচির অংশ হিসেবে পশুর নদীতে বোট র্যালি, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে যা পরিবেশের ক্ষতি ও জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলসমূহ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের জন্য অতি ঝুঁকিপূর্ণ। ইতিমধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, চরম আবহাওয়া এবং জীববৈচিত্র্য ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে।
ধরিত্রি রক্ষায় আমরা (ধরা)র আয়োজনে অনুষ্ঠিত বোট র্যালি, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পশুর রিভার ওয়াটারকিপার, পরিবেশযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ।
এসময়ে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর নাজমুল হক, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’র হাছিব সরদার, মার্টিন সরকার, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার মেহেদী হাসান বাবু, মাহারুফ বিল্লাহ, শাহীন খলিফা, মেহেদী, সোহেল, হৃদি সরকার, প্রদীপ সরকার সহ আরো অনেকে।
এসময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে যা পরিবেশের ক্ষতি ও জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলসমূহ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের জন্য অতি ঝুঁকিপূর্ণ। ইতিমধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, চরম আবহাওয়া এবং জীববৈচিত্র্য ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। আমরা বাংলাদেশকে একটি ন্যায্য, টেকসই, এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ভিত্তিতে উন্নতির দিকে ধাবিত করার দাবি জানাই।
এসময় বক্তারা আরো বলেন, পরিবেশ, স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির ওপর গ্যাস ও এলএনজির ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে, সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং নীতিনির্ধারকদের জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পের সম্প্রসারণ বন্ধ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানাই। গ্যাসের পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি।
এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন উপলক্ষে পশুর নদীতে বোট র্যালি, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা “গ্যাস সম্প্রসারণ বন্ধ কর” “প্রাকৃতিক গ্যাস এবং এলএনজি প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ কর” “গ্যাস নয়, সমাধান হলো নবায়নযোগ্য জ্বালানি” “জীবাশ্ম জ্বালানির দ্রুত, ন্যায্য এবং ন্যায়সঙ্গত ফেজ-আউট চাই” “কয়লা থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর চাই” “জীবাশ্ম গ্যাস পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর” “জীবাশ্ম গ্যাস মানুষের জন্য বিষাক্ত” “জীবাশ্ম গ্যাস একটি ব্যয়বহুল জ্বালানি” “গ্যাসের বিকল্প আছে” “প্রাচ্যের দেশগুলোতে গ্যাস সম্প্রসারণ করা চলবে না” সম্বলিত প্লাকার্ড -ফেস্টুন প্রদর্শন করেন।