॥ এ আর আজাদ সোহেল, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি ॥
পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টায় সুধারাম মডেল থানার পশ্চিমে মাইজদী গ্রামের ছেরাজল হক মেম্বার বাড়িতে বসত ঘরে ডুকে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে সুধারাম পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভুক্তভোগী পরিবারকে উদ্বার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
তিনি বলেন, পুলিশ আমাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্ত্তি করালেও তারা হাসপাতালে এসে আমাদেরকে হুমকি ধমকি দিয়ে যায়। বর্তমানে আমরা বাড়ি ফিরতে পারছিনা। এমন কি হাসপাতালেও নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
এতে একই পরিবারের অন্ত:স্বত্তা ইসমাতুন নুর মমু (২০) সহ ৩ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মমুুকে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্ত্তি করা হয়েছে। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ শেষে হাসপাতালেই অবস্থান করছে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেহই বাড়ি ঘরে ফিরতে পারছেনা।
সরেজমিনে হাসপাতালে গেলে মমুর মা একলব জানান, সোমবার বিকেল ৫টার দিকে প্রতিপক্ষ রাসেল, জয়সহ ৮/১০ জন প্রথমে ঘরের বাইর থেকে আট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ইটের আঘাতে অন্ত:স্বত্তা মেয়ে মমু গুরুতর আহত হয়।
পাশের রুম থেকে ছেলের বৌসহ আমি দৌঁড়ে আসলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারীরা সংঘবদ্ধভাবে বসত ঘরে ডুকে আমাদের এলোপাতাড়ি মারধোর করে ঘর থেকে বাইরে ছুড়ে ফেলে।
উপায়ন্ত না দেখে তাৎক্ষনিক ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে সুধারাম থানার এস আই অপু ঘটনাস্থলে এসে আমাদেরকে উদ্বার করে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্ত্তি করে।
তিনি জানান, আমি ৭ ভাইয়ের ওপর একমাত্র বোন। আমার স্বামীর সাথে বিচ্ছেদের পর বড় ভাইদের সহায়তায় পৈত্রিক সম্পত্তির ওপর একটি টিনশেডের দালান ঘর নিমার্ণ করে দীর্ঘদিন যাবত সন্তানাদি নিয়ে বসত করে আসছি।
গত কিছুদিন থেকে আমার এক ভাই ও তার সন্তানদের কুদৃষ্টি পড়ে ওই সম্পত্তির ওপর। তারা বিভিন্ন সময়ে আমাকে বসত ভিটা ছেড়ে দিতে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। তারা বিভিন্ন অজুহাতে আমাকে ওই সম্পত্তি হতে বেদখল করার জন্য গায়ে পড়ে ঝগড়া-ঝাটি করে। বিনা অজুহাতে আমার মেয়ের জামাইকেও অপমান ও লাঞ্চিত করে। তারা আমার জামাইকে এই বাড়িতে না আসার জন্য হুমকি প্রদর্শন করে।
তিনি বলেন, তারা আমার বড়ভাই জেলা রেজিষ্ট্রার অফিসে কর্মরত বেলাল হোসেনকেও মান্য করেনা। তারা দেশের আইন ও সমাজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। আমি ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত, অভাব অনটনের মধ্যে দিনাতিপাত করছি।
ডাক্তার দেখাতে বের হলে তারা আমাদের বসত ঘরেও তালা লাগিয়ে দেয়। তাদের অত্যাচার ও মানসিক যন্ত্রনায় স্থানীয় ব্যক্তিদের পরামর্শে আমি ইতোপূর্বে পুলিশ সুপার বরাবর সুবিচার প্রার্থনায় আবেদন করি। এতে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরিকল্পিত ভাবে রাতের বেলা ঘরের ছালে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, বিনা অজুহাতে গালমন্দ ও উস্কানীমূলক মানহানিকর কথাবার্তা বলে।
তিনি বলেন, পুলিশ আমাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্ত্তি করালেও তারা হাসপাতালে এসে আমাদেরকে হুমকি ধমকি দিয়ে যায়। বর্তমানে আমরা বাড়ি ফিরতে পারছিনা। এমন কি হাসপাতালেও নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ মহি উদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, মমুকে হাসপাতালে ভর্ত্তির পরে তার চিকিৎসার সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সুুধারাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমি ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে এ বিষয়ে এখনো কেউ কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এটা যতদুর তাদের জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ।