Tuesday , 15 April 2025

সলঙ্গায় বিএনপির নেতাদের নেতৃত্বে অন্যের জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা : হামলায় নারীসহ আহত-৩

॥ শাহ আলম,  সিরাজগঞ্জ  জেলা প্রতিনিধি ॥

সি রাজগঞ্জের সলঙ্গায় স্থানীয় বিএনপির কতিপয় নেতাদের সহযোগিতায় গোলবার হোসেন সেখ এর জমি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

তিনি হযরত ইমাম বুখারী রহমাতুল্লাহ আলাইহি কর্তৃক বুখারী নগরীর দরবার হতে ইলমে হাদিস, তাফসীর ও ফিকাহ্ শাস্ত্রে ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। বর্ণিত আছে হযরত খাজা হাজী শাহ শরীফ জিন্দানী ( রহঃ) একাধারে ১২ বছর গভীর জঙ্গলে কঠোর সাধনায় নিমগ্ন ছিলেন।

এসময় অবৈধ দখল চেষ্টাকারীদের অবৈধ দখল কাজে জমির প্রকৃত মালিক গোলবার হোসেন সেখ ও তার লোকজন বাঁধা প্রদান করতে গেলে প্রতিপক্ষ আদম,কদম ও আলম মন্ডলসহ তার ভাড়াটে লোকজন তাদের উপর বিএনপির বহিস্কৃত নেতা ফরিদ মেম্বারের নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়ে গোলবার হোসেন (৬২) ও তার ছেলে বিপুল(২৮)সহ ৩জন আহত হয়েছেন।

এদের মধ্যে গোলবার হোসেন সেখ এর অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদেরকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে অবৈধ দখল প্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য জমির মালিক গোলবার হোসেন সেখ বৃহস্পতিবার রাতে সলঙ্গা থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ তার অভিযোগ গ্রহন না করে ঘটনা সংগঠিত হলে থানার অফিসার ইনচার্জ অভিযোগকারীকে ৯৯৯ এ কল করতে পরামর্শ দেন।

সে মোতাবেক ভুক্তভোগী গোলবার হোসেন সেখ ৯৯৯ এ কল করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সলঙ্গা থানার বড়গোঁজা গ্রামে।

অভিযোগকারী ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানাযায়,সলঙ্গা থানার বড়গোঁজা গ্রামের গোলবার হোসেন সেখ এর পিতা, মৃত দছের আলী সেখ, ১৯৫৭ সালে বড়গোঁজা মৌজায় ৭৩ শতক জমি ক্রয় করে ভোগ দখল করতেন। এর মধ্যে তার মৃত্যুর পর, তার পুত্র গোলবার হোসেন সেখ, ওই জমিটি ভোগদখল ও চাষাবাদ করে আসছেন। এরই মাঝে একই গ্রামের আসমত আলীর নামে ভুলক্রমে জমিটি রেকর্ড হলে জমির মালিক গোলবার হোসেন সেখ আদালতে স্বত্ত্ব ঘোষণা মুলক রেকর্ড সংশোধনী মামলা দায়ের করেন।

পরে আদালত থেকে গোলবার হোসেন সেখ রেকর্ড সংশোধনের মামলায় রায়, ও ডিগ্রি পান। কিন্তু আদালতের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মৃত আসমত আলীর ছেলে আদম,কদম ও আলম মন্ডল তাদের বাবার নামে ওই জমিটি রেকর্ড হয়েছে বলে জমিটি তাদের বোলে দাবি করে, স্থানীয় বিএনপি নেতা, হাবিবুর রহমান হাবিব,তার ছেলে সলঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ,বিএনপির বহিস্কৃত নেতা ফরিদুল ইসলাম ফরিদ ও শ্রমিক দলের নেতা নুরুন্নবী শিকদারের নেতৃত্বে শুক্রবার সকাল সারে ৯টার দিকে জোরপুর্বক দখল করার চেষ্টা করে। এতে গোলবার হোসেন সেখ ও তার লোকজন বাঁধা দিতে গেলে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা ফরিদ মেম্বারের নেতৃত্বে দখল কাজে সহায়তা দানকারীরা তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

 

এতে গোলবার হোসেন সেখ ও তার ছেলে বিপুল ও এক নারী আহত হন। এসময় স্থানীয়রা উপস্থিত হয়ে আহত গোলবার হোসেন সেখ, ও তার ছেলে বিপুলকে হামলাকারীদের রোষানল থেকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়। এদিকে এমন ঘটনা ঘটার আশঙ্কা ছিল বলে জমির মালিক গোলবার হোসেন সেখ বৃহস্পতিবার রাতে সলঙ্গা থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ তার অভিযোগ গ্রহন করেননি। উপরন্ত তাকে বলা হয় জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ গ্রহণ করা হয় না। তবে ঘটনা ঘটলে ৯৯৯ এ কল দিলে সহযোগিতা করা হবে। সে ধারাবাহিকতায় ঘটনার সময় ৯৯৯ এ কল করলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছায় সলঙ্গা থানা পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায় আদম আলী গংরা ও ফরিদ মেম্বারের নেতৃত্বে জবরদখল কাজে সহযোগিতা দানকারী লাঠিয়াল বাহিনী।

পুলিশের উপ পরিদর্শক বড়গোঁজা গ্রামের বেলাল হোসেনের ভাই বিপুল গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন,বিএনপির বহিস্কৃত নেতা সাবেক ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব,তার ছেলে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ ও শ্রমিক দলের নেতা নুরুন্নবী শিকদার প্রতিপক্ষের নিকট থেকে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আমার বাবার বড়গোঁজা মৌজার এসএ ৩৭৮ দাগের ৭৩ শতক ফসলি জমি একই গ্রামের আদম আলী,কদম আলী ও আলম মন্ডল গং দের দখলে নিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ওই জমিটি ক্রয় সুত্রে মালিক হিসেবে ১৯৫৭ সাল থেকে আমার বাব দাদার দখলে রয়েছে, তারাই আবাদ করে আসছিল। বিপুল আরো জানান, আমার দাদার কেনা সম্পত্তি ভূলবশত আদম আলীর বাবা আসমত আলীর নামে রেকর্ড হলে আমরা রেকর্ড সংশোধন করে আমাদের পক্ষে আদালত থেকে রায় পাই।

সে রায়ে ছানি বিচার চেয়ে আবেদন করে আদম আলী। ছানির রায়ও আমরা পাই। তারা যাতে অনধিকার প্রবেশ না করতে পারে,, সে জন্য আমরা আদালতে ১৪৪ ধারা আবেদন করি। এরই একপর্যায়ে বিএনপির পরিচয়দানকারী বহিস্কৃত নেতা ফরিদ মেম্বার,হাবিবুর রহমান হাবিব, আজাদুর রহমান আজাদ ও নুরুন্নবী শিকদার কে, সাড়ে তিন লাখ টাকা দিয়ে শুক্রবার সকালে হাল চাষ করার জন্য ট্রিলার সহ জমিতে আসে। আমরা বাঁধা দিলে আমাদেরকে মারপিট করে জমি থেকে বের করে দেওয়া হয়।

এরপর ৯৯৯ এ কল দিলে সলঙ্গা থানা পুলিশ আসলে তারা জমি থেকে চলে যায়। আমরা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ ঘটনার পর আদম আলী গং দের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তাদের বাড়িতে গেলে কাউকেই খুজে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে ফরিদ মেম্বারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।

সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোখলেছুর রহমান বলেন,সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় থানায় এখনও কোন অভিযোগ হয়নি।

Check Also

নোয়াখালীতে রহস্যজনক আগুনে পুড়ল ৯ দোকান

॥ এ আর আজাদ সোহেল, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি ॥ নো য়াখালী সদর উপজেলার একটি মার্কেটে …