॥ নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
ঢাকার দোহার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের চরবৈতা এলাকায় পাঁচ বছরের এক মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ২০ হাজার টাকায় মিটমাট করেন সালিশীগন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিশুটির বাড়িতে গেলে পরিবারের কেউ কথা বলতে রাজি হননি। এদিকে সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে সটকে পরেন অভিযুক্ত ইছানসহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, বেশ কয়েকদিন আগে চরবৈতা এলাকায় নানা বাড়িতে মায়ের সাথে বেড়াতে আসে শিশুটি। বুধবার বিকেলে খেলার ছলে কৌশলে ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে প্রতিবেশী ইসমাঈল কাজীর ছোট ছেলে ইছান (১৪)।
শিশুটি চিৎকার করলে পরিবারের লোকজন এগিয়ে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা করান। এদিকে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে বিষয়টি ধামাচাঁপা দিতে রাত আটটার দিকে কুসুমহাটি ইউনিয়নের চর পুরুলিয়া এলাকায় নজরুল শিকদারের বাড়িতে সালিশী বসলে সেখানে ২০ হাজার টাকা দিয়ে ঘটনার মিটমাট করা হয়। সালিশীতে আরও উপস্থিত ছিলেন মিলন শিকদার, মাহমুদপুর ইউনিয়ের সালাম মৃধা, মাসুম খানসহ আরও বেশ কয়েকজন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিশুটির বাড়িতে গেলে পরিবারের কেউ কথা বলতে রাজি হননি। এদিকে সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে সটকে পরেন অভিযুক্ত ইছানসহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
ঘটনার বিষয়ে সালিশীতে থাকা নজরুল শিকদার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা মিমাংসার জন্য বসেছিলাম। ছেলেপক্ষ হাতজোর করে ক্ষমা চায় ও তাকে শাসন করা হয়। টাকার বিষয়ে বলেন, আমরা টাকা নিতে চাইনি জোর করে টাকা দিয়েছে তাই কিছু বলতে পারিনি।
এ সময় উপস্হিত ছিলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা দেওয়ান তোফায়েল হোসেন, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল প্রমুখ। এ-বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ-তহবিলের ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান প্রকল্পের আওতায় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সদস্যরা ভিক্ষা বৃত্তি বাদ দিয়ে বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে এ অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
আশা করছি এ সহযোগিতা তাদের বিকল্প কর্মসংস্হানে অনেক কাজে লাগবে। একই সাথে আমি বিশেষ চাহিদা সম্পর্ণ ব্যাক্তিদের( প্রতিবন্ধীদের) প্রস্তুতকৃত ঝাড়ু তার দফতরের প্রয়োজনে ক্রয় করা সহ অন্যদেরকেও কেনার অনুরোধ জানাচ্ছি।
গোয়ালন্দ উপজেলা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি মো. রতন শেখ বলেন, “শেখ হাসিনার দীক্ষা, ছাড়তে হবে ভিক্ষা।” এই মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা বিকল্প কর্ম সংস্থান তৈরীর জন্য ইতিমধ্যে ঝাড়ু প্রস্তুত ও বিক্রি করতে শুরু করেছি। আজকের এই অনুদান ও ঋন নিয়ে আমারা ঝাড়ু তৈরির নতুন একটি কারখানা নির্মান করে নতুনভাবে নিজেদের জীবন যাত্রা শুরু করব।