॥ এ আর আজাদ সোহেল, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি ॥
নোয়াখালী সদরে ২ লক্ষ টাকা দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে দোকান ভিটি দখলের অপচেষ্টা করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। এসময় যৌথবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে নাঈম (২৫) নামে একজনকে আটক করে।
কাজ করতে হলে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে কাজ বন্ধ করে দেন। এছাড়া তাঁকে ও নির্মান শ্রমিকদের বিভিন্ন হুমকি দমকি প্রদর্শন করেন। কিন্তু তিনি শ্রমিক দিয়ে কাজ অব্যহত রাখেন।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার ৮নং এওজবালিয়া ইউনিয়নের জমিদারহাট বাজারে এ ঘটনাটি ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দোকান ভিটির মালিক আব্দুল কাইয়ুম সওদাগর বাড়ির ক্বারী মোঃ আতিক উল্লাহ। তিনি বিগত ৪০ বছর পূর্বে স্থানীয় তরণী কুমার কুরী এর কাছ থেকে রেজিস্ট্রার দলিল মুলে দোকান ভিটি খরিদ করেন। এবং ৬৫৪ নং খতিয়ান মূলে সরকারের খাজনাদি পরিশোধ করে আসছেন।
এবং দোকান ভাড়াটিয়ার কাছে ভাড়া দিয়ে ভোগ দখলে আছেন। দোকান ঘরটি জরাজীর্ণ হয়ে গেলে গত ৫ জানুয়ারী সকালে তিনি পুনঃনির্মাণ কাজ করতে থাকেন। এ সময় স্থানীয় সন্ত্রাসী দেলোয়ার হোসেন (লিটন), আব্দুল গনি বাবু, মিলন গং ৪/৫ জন সন্ত্রাসীসহ সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার নির্মান কাজে বাধা দেয়।
কাজ করতে হলে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে কাজ বন্ধ করে দেন। এছাড়া তাঁকে ও নির্মান শ্রমিকদের বিভিন্ন হুমকি দমকি প্রদর্শন করেন। কিন্তু তিনি শ্রমিক দিয়ে কাজ অব্যহত রাখেন। সন্ত্রাসীদের দাবীকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার (২০ জানুয়ারী) রাতের অন্ধকারে দোকানের সদ্য নির্মিত দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে দেয়। এ সময় দোকানের ভিতর থেকে মালামাল ও বাহিরে থাকা নতুন আড়াই হাজার ইট পিকআপে (ট্রাক) তুলে প্রকাশ্যে লুট করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে তিনি সুধারাম মডেল থানায় এবং সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এতে সন্ত্রাসীরা আরো ক্ষীপ্ত হয়ে উঠে (২১জানুয়ারী) মঙ্গলবার সকালে সিমেন্টের পিলার, কাঠ, শতাধিক টিন নিয়ে এসে জোরপূর্বক ক্বারী আতিক উল্লাহর দোকান ভিটি দখল করে তাদের আনয়নকৃত সামগ্রী দিয়ে দোকান নির্মাণ করতে থাকে।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর বিশেষ টিম ও সুধারাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সবাই দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে মিলনের পুত্র নাঈম (২৫) কে আটক করে সন্ত্রাসীদের নির্মানের সামগ্রী ও মালামাল জব্দ করেন। আটককৃত নাঈমকে সুধারাম মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
সুধারাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুল ইসলাম জানান, আটককৃত ব্যক্তিকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।