Tuesday , 14 October 2025

পদ্মা নদীতে ২২ দিন ইলিশ সহ সব ধরনের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা।

॥  আবুল হোসেন, রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি ॥

দ্মা ও যমুনা নদীর মিলনস্থল রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে আজ মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে নদীতে ইলিশ সহ সব ধরনের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা। মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায় এ বছর ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ আহরণ, মজুদ ও বিপণন বন্ধ থাকবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে জেল জরিমানা করবে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, কোস্টগার্ড, পুলিশ, টাস্কফোর্স মাঠে থাকবে ।

গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস কর্মকর্তা, মো: আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট বলেন, এ ব্যাপারে জেলেদের নিয়ে মিটিং করা হয়নি পরে করবো। ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ, কারেন্ট জাল পেলেই ধরবো। প্রস্তুত নিচ্ছে যারা তারা নিজের ইচ্ছে মতো নিচ্ছে। আমরা দেখতে পেলেই ধরবো। প্রস্তুত তো তারা নেবেই এগুলো তো আমাদের বলার কিছু নাই। আমরা আইনে যা আছে তাই করবো।

এ নিষেধাজ্ঞায় জেলেদের মধ্যে হতাশা নেমে এসেছে। তাদের সংসার, আড়ৎদারদের নিকট থেকে দাদন, এনজিওর কিস্তি নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছে তারা। অনেকেই অভিযোগ করেন তারা সরকারি কোন প্রণোদনা পায়নি।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া সাত্তার মেম্বার পাড়া এলাকা ও ৭ নং ফেরীঘাট এলাকায় পদ্মার পাড়ে ও পাড়ের কিছু বাড়ীতে নতুন ভাবে অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে ইলিশ ধরার প্রস্ততি নেওয়ার কাজ চলছে। এবং পদ্মা পাড়ে মৌসুমি জেলেদের নৌকা ও ইঞ্জিন মেরামত করতে দেখা যায়। এসময় মৌসুম জেলেদের ভিডিও এবং ছবি তুলতে গেলে সংঘবদ্ধ কয়েকজন যুবক সাংবাদিকদের ছবি তুলতে নিষেধ করেন। এবং তারা জানান, আমরা বছরে এ সময়টা জীবণের ঝুঁকি নিয়ে ইলিশ ধরি। আপনারা আমাদের ভিডিও এবং ছবি তুললে পুলিশ আমাদেরকে গ্রেফতার করবে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের একটি চক্র ইলিশ ধরা চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

প্রশাসন এবং স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তর ও নৌ পুলিশের কোন নজরদারি না থাকায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে ইলিশ ধরার প্রস্ততি নিচ্ছে মৌসুম জেলেরা। পদ্মার পাড়েই দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ি তবে পাড়ের কিছু কিছু বাড়ীতে ও পদ্মা পাড়েই চলছে ইলিশ ধরার প্রস্ততি। এযেনো প্রশাসন কে বৃদ্ধা আঙুল দেখানোর মতো কাজ হচ্ছে।

এবং ইলিশ ধরায় টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তর ও নৌপুলিশের পক্ষ থেকে জেলেদের নিয়ে কোন সভা সেমিনার ও সমাবেশ করা হয়নি। এবং একই সাথে জেলেদের নিয়ে ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞার কোন প্রচার কার্যক্রম চোখে পড়েনি। দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত ইনচার্জ (এসআই) লুৎফর রহমান বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে জেল জরিমানা করবে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, টাস্কফোর্স মাঠে থাকবে ।

গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস কর্মকর্তা, মো: আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট বলেন, এ ব্যাপারে জেলেদের নিয়ে মিটিং করা হয়নি পরে করবো। ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ, কারেন্ট জাল পেলেই ধরবো। প্রস্তুত নিচ্ছে যারা তারা নিজের ইচ্ছে মতো নিচ্ছে। আমরা দেখতে পেলেই ধরবো। প্রস্তুত তো তারা নেবেই এগুলো তো আমাদের বলার কিছু নাই। আমরা আইনে যা আছে তাই করবো।

উল্লেখ্যঃ গত বছর জেলার গোয়ালন্দ উপজেলায় মাছ ঘাটগুলোতে উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তর ও নৌ পুলিশের তেমন কোন নজরদারি না থাকায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অধিকাংশ ট্রলার দিয়েই পদ্মা নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা অব্যাহত ছিলো।

Check Also

সিরাজগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী শিশুদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান:

॥ শাহ আলম,  সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ॥ ক্রী ড়াই  শক্তি ক্রীড়াই বল, মাদক ছেড়ে মাঠে চল। এই …