॥ শাহ আলম, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ॥
হ যরত হাজী খাজা শাহ্ শরীফ জিন্দাদানী ( রহঃ) রহমাতুল্লাহ আলাইহি বোখাবা অন্তর্গত জিন্দান নগরের রাজ বংশে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি হযরত ইমাম বুখারী রহমাতুল্লাহ আলাইহি কর্তৃক বুখারী নগরীর দরবার হতে ইলমে হাদিস, তাফসীর ও ফিকাহ্ শাস্ত্রে ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। বর্ণিত আছে হযরত খাজা হাজী শাহ শরীফ জিন্দানী ( রহঃ) একাধারে ১২ বছর গভীর জঙ্গলে কঠোর সাধনায় নিমগ্ন ছিলেন।
বাল্যকালে তিনি অত্যন্ত মেধাবী, আধ্যাত্মিক জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। তিনি হযরত ইমাম বুখারী রহমাতুল্লাহ আলাইহি কর্তৃক বুখারী নগরীর দরবার হতে ইলমে হাদিস, তাফসীর ও ফিকাহ্ শাস্ত্রে ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। বর্ণিত আছে হযরত খাজা হাজী শাহ শরীফ জিন্দানী ( রহঃ) একাধারে ১২ বছর গভীর জঙ্গলে কঠোর সাধনায় নিমগ্ন ছিলেন।
তখন তিনি অতি সামান্য আহার করতেন। কখনো কখনো তিনি একা ধারে ৫ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত আল্লাহর ধ্যানে জিকিরে মগ্ন থেকে কাটাতেন। ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে ভারত বর্ষ থেকে বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলা তাড়াশ উপজেলার ঐতিহাসিক চলনবিল অধ্যুষিত নওগাঁর কোল ঘেষে প্রবাহিত করোতোয়া নদীর বাঁকে এসে আস্তানা গাড়েন এবং ইসলাম ধর্ম প্রচারে মনোনিবেশ করেন।
হযরত খাজা শাহ্ শরিফ জিন্দেগানি( রহঃ) অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। কথিত আছে তিনি বাঘের পিঠে সওয়ার হয়ে নওগাঁতে আস্তানা করেন। তাহার হাতে ছিল ছুরি হিসেবে একটি জাত সাপ। তাহার এই অলৌকিক ক্ষমতা দেখে মুগ্ধ হয়ে দলে দলে লোকজন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে থাকেন।
হযরত হাজী শাহ্ শরীফ জিন্দানী ( রহঃ) তৎকালীন নওগাঁর হিন্দু রাজা ভাংশিং কে মূর্তিপূজা করতে বারণ করায়, রাজা ভাংশিং স্ব-পরিবারে মান গুম্বরিয়া পুকুরে নৌকা ডুবিয়ে আত্মহত্যা করেন। ঐতিহাসিক নিদর্শন সমূহ সংরক্ষণের অভাবে প্রায় বিলুপ্তির পথে।
তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে : ভাঙ্গা মসজিদ, হুররা সাগর, রাজবাড়ির ভিটা, কুড়ির ভিটা, ভাংশিং দিঘী উল্লেখযোগ্য । প্রতিবছর হাজার হাজার ভক্ত ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় উৎসব মুখর পরিবেশে চৈত্র মাসের প্রথম শুক্রবার মোতাবেক বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার, অনুষ্ঠিত হয় ওরস মোবারক।