॥ এ আর আজাদ সোহেল, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি ॥
অ র্থের অভাবে চিকিৎসা নিতে না পারায় মৃত্যু প্রহর গুনছে ক্যান্সারে আক্রান্ত তিন কন্যার জনক জসিম উদ্দিন (৩৪)। তার শরীর বর্তমানে অনেকটায় জীর্ণশীর্ণ হয়ে গেছে।
জসিমের বাবা ও ভাই বলেন, চিকিৎসা নিতে খরচ হয়েছে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। নিন্ম পরিবারের অভাবী বাবার পক্ষে সন্দানের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব হচ্ছে না।
জসিম চট্টগ্রামের একটি কারখানায় চাকরি করতো হটাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানা যায় তার পাকস্থলীতে মরণব্যাধি ক্যান্সার বাসা বেঁধেছে। ইতিমধ্যে দেশের চিকিৎসক জানান সময় মতো চিকিৎসা না করায় দিনে দিনে তার অবস্থা অবনতি হচ্ছে। তাকে দীর্ঘদিন উন্নত চিকিৎসায় থাকতে হবে।
ধার দেনা করে ইন্ডিয়াসহ ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে গত ৩ বছর পরিবার চিকিৎসা করালেও, টাকার অভাবে বাড়িতে পড়ে থাকতে হচ্ছে তাকে। এখন অভাবের সংসারে ব্যয় বহুল এই চিকিৎসা করানো বেকার বাবার ওপর যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা।
জসিম উদ্দিন নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ২নং সুন্দলপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের সুন্দলপুর গ্রামের ফখরুল মাষ্টারের বাড়ির কামাল উদ্দিনের ছেলে। দুই ভাই চার বোনের মধ্যে সে তৃতীয়। জীবিকার তাগিদে কয়েক বছর পূর্বে চট্টগ্রামের একটি প্লাস্টিকের কারখানায় কাজ করতেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করার আগেই মরণব্যাধি ক্যান্সার আক্রান্ত হয় এই তিন কন্যা সন্তানের বাবা। জসিম বাঁচতে চায় মেয়েদের জন্য, গরিব হওয়ার কারণে চিকিৎসা থেমে গেছে, তিনি দেশের বৃত্তবান লোকদের সহযোগিতা কামনা করছেন।
জসিমের স্ত্রী কাজল বলেন, প্রতিটি মুহুর্ত তার কাটচে হতাশা আর দুশ্চিন্তার মধ্যে। তিনটা অবুঝ মেয়েদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন,স্বামীর চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিজের গহনা সহ ঘরের আসবাবপত্র বিক্রি করে নিঃস্ব প্রায়। বাচ্চাদের মুখে দিতে পারছেন না দুমুঠো ভালো খাবার। স্বামীর চিকিৎসা করাতে পারলে স্বস্তি পেতেন।
জসিমের মেয়ে বলেন, বাবার এমন অসুস্থতার লেখাপড়া সহ কাপড়চোপড় পরিধান করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ছোট তিন অবুঝ শিশু, বাবার চিকিৎসা হলে হয়তো তাদের সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে উঠবে, তবে বাবাকে সুস্থ করতে হলে অনেক টাকার দরকার, তাই দেশের সকল মানুষ যেনো বাবার চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে দেন এমন প্রত্যাশা করছেন জসিমের শিশু কন্যারা ।
জসিমের বাবা ও ভাই বলেন, চিকিৎসা নিতে খরচ হয়েছে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। নিন্ম পরিবারের অভাবী বাবার পক্ষে সন্দানের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। এলাকার মানুষের কাছ থেকেও সহযোগিতা চেয়ে সামান্য কিছু টাকা পাওয়ার পর সেটাও শেষ। । ফলে বাধ্য হয়ে জসিম উদ্দীনকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়। এখন বসত ঘরের একটি কক্ষে ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। পিতা হয়ে চোখের সামনে সন্তানের করুন দশা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে।
এমতাবস্থায় জসিমের চিকিৎসা করতে হলে আরও উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। উন্নত চিকিৎসার অভাবে তার শারীরিক অবস্থা দিন দিন অবনতি হচ্ছে। এখন তাকে বাঁচাতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে সমাজের বিত্তবানদের মানুষদের সাহায্য প্রার্থনা করছেন। উন্নত চিকিৎসা পেলে হয়তে আবার নতুন জীবনে ফিরবে জসিম উদ্দিন।
সহযোগিতা করতে চাইলে জসিমের স্ত্রী কাজলের সাথে যোগাযোগ করার জন্য নাম্বার-বিকাশ,পারসোনাল-০১৮৮৩৮৮৩৫৮৫