॥ মাসুদ রানা, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি ॥
মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে এলপিজি গ্যাসবাহী বানিজ্যিক জাহাজের সাথে মুখো-মুখি সংঘর্ষে কয়লা বোঝাই একটি কার্গো জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত ১২ টার দিকে বন্দরের পশুর চ্যানেলের করমজল নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এসময় কার্গো জাহাজে থাকা ৮ নাবিক সাঁতার কেটে কিনারে উঠতে পারলেও এসময় নিকটবর্তী একটি ফিশিং বোটে ধাক্কা লেগে এক জেলে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়। উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের সদস্যরা।
মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের পেটি অফিসার মো: জাকির হোসেন বলেন, গ্যাসবাহী ও কয়লা বোঝাই দুই জাহাজের মুখো-মুখী সংঘর্ষ হয়। এতে কার্গো জাহাজটির সামনেন অংশ ফেটে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কোস্টগার্ড জানায়, শুক্রবার রাতে বন্দরের হারবাড়িয়ার ৫ নম্বর বয়ায় অবস্থান নেয়া কয়লা বোঝাই বাংলাদেশী পতাকাবাহী বানিজ্যিক জাহাজ “এমভি রয়েল ইমেজ” নামক জাহাজ থেকে ৫শ মেট্রিক টন কয়লা বোঝাই করে যশোরের নোয়াপাড়ার উদ্দোশ্যে ছেড়ে আসে কার্গো জাহাজ “এমভি মিজান”।
বন্দরের পশুর চ্যানেলের করমজল এলাকায় আসলে বিপোরিত দিক থেকে আসা এলপিজি গ্যাসবাহী “এমভি এরা স্টার” নামক বানিজ্যিক জাহাজের সাথে মুখো-মুখী সংঘর্ষ হয়। এতে কয়লা বোঝাই কার্গো জাহাজটি দুর্গটনা কবলে পরে তলা ফেটে ডুবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এসময় কার্গোটিতে থাকা ৮ নাবিক সাতরে কিনারে উঠতে স্বক্ষম হলেও সংঘর্ষের সময় পাশে থাকা অন্য একটি ফিশিং ট্রলারে ধাক্কা লেগে জেলে লোকমান হাকিম (২৭) নামের এক জেলে নিখোঁজ হয়। শনিবার সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের একটি ডুবুড়ি দল। নিখোঁজ লোকমান হাকিম খুলনা জেলার দাকোপ থানার রুয়োকাটা গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
মোংলা বন্দর চ্যানেলে কার্গো জাহাজ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন। তাৎক্ষনিক দুইটি উদ্ধারকারী টাগ বোট ঘটনাস্থলে গিয়ে কার্গোটি টেনে নদী পুর্ব পাশের চরে উঠিয়ে দেয়। তবে পন্য বোঝাই দেশ-বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজ চলাচলের জন্য মুল চ্যানেল ঝুকিমুক্ত রয়েছে বলে জানায় বন্দরের হারবার বিভাগ।
মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের পেটি অফিসার মো: জাকির হোসেন বলেন, গ্যাসবাহী ও কয়লা বোঝাই দুই জাহাজের মুখো-মুখী সংঘর্ষ হয়। এতে কার্গো জাহাজটির সামনেন অংশ ফেটে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
তবে কোস্টগার্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষের দ্রুত উদ্ধারকারী জাহাজ না আসলে কার্গোটি পশুর নদীর মুল চ্যানেলে ডুবে গিয়ে নৌযান চালাচল চরম ব্যাহত হতো। তবে রাত থেকেই অন্য একটি কার্গোতে কয়লা খালাসের কাজ শুরু করেছে মালিক পক্ষ।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারী একই এলাকায় ৯৫০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে তলা ফেটে ডুবে গেছিলো কার্গো জাহাজ “এমভি ইশরা মাহমুদ”।