॥ বাগেরহাট প্রতিনিধি ॥
খুলনা সিটি করপোরেশন মেয়র ও মহনগর আ’লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, আমরা বঙ্গবন্ধু উপাদি দিয়েছি কিন্ত বঙ্গবন্ধু সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী এটা আপনার আমার দেয়া উপাদি নয়। এটি বিবিসি’র একটি জরিপে পাওয়া,পৃথিবীতে যেখানেই বাঙ্গালীরা আছেস তাদের মধ্য থেকে জরিপ করে বঙ্গবন্ধুকে সর্ব কালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে এক জাতীয় শোক সভায় তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৯ আগষ্ট) মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নে বৈদ্যমারী বাজার মাঠে এক শোকসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা।
সিটি মেয়র তার বক্তব্যে বলেন, তত্বাবধায়ক সরকার আর হবেনা। কেউ আসুক আর না আসুক আগামী জানুয়ারীতে প্রধানমন্ত্রীর অধীনেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন হবে অবাধ ও নিরপেক্ষ। তাই সবাইকে প্রস্তুতি নিতে বলেন তিনি।
চিলা ইউনিয়র আওয়ামীলীগের সভাপতি মিহির ভান্ডরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মোংলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, আ’লীগের সভাপতি সুনিল কুমার বিশ্বাস, পৌর মেয়র ও পৌর আ’ লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি শেখ আঃ সালাম,
পৌর সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান জসিম, চিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী আকবর হেসেন, চাঁদপাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোল্লা তরিকুল ইসলাম, সোনাইলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজরিনা বেগম, যুবলীগ নেতা মোঃ ইসরাফিল হাওলাদার ও অলিয়ার রহমানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
পরে সিটি মেয়র তার বক্তব্যে বলেন, তত্বাবধায়ক সরকার আর হবেনা। কেউ আসুক আর না আসুক আগামী জানুয়ারীতে প্রধানমন্ত্রীর অধীনেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন হবে অবাধ ও নিরপেক্ষ। তাই সবাইকে প্রস্তুতি নিতে বলেন তিনি। তত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নিয়ে যারা লাফালাফি করছেন কোন কাজ হবেনা।
খালেদা জিয়া যখন সরকার প্রধান ছিলেন, তখন আমরা তত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছি। সে সময় খালেদা জিয়া বলেছিলেন পাগল আর শিশু ছাড়া নিরপেক্ষ কোন লোক নাই। এখন কেন তত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছেন? বিএনপির উদ্দেশ্য তালুকদার আব্দুল খালেক আরও বলেন, আপনাদের নেতা তারেক রহমান লন্ডনে কি করে আমরা জানি। সাহস থাকলে বাপের বেটা হলে বাংলাদেশে এসে মামলা মোকাবেলা করে রাজনীতিতে আসেন।
বঙ্গবন্ধু জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টি হতোনা। অথচ খুনি মোশতাক ও জিয়াউর রহমান তাকে ও তার পরিবারের ১৭ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরে হত্যাকারীদের বিচার না করে তাদের পুরস্কৃত করে বিদেশি দূতাবাসে চাকরি দিয়েছেন জিয়া। এই শোকের মাসে একুশ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আ’ লীগের ২৪ জনকে হত্যা করা হয়।
সে সময় শেখ হাসিনাকে হত্যা করে আরেকটা ১৫ আগষ্ট তৈরি করতে চেয়েছিলো বিএনপি। কিন্তু অলৌকিকভাবে তিনি বেঁচে গেছেন। আ’ লীগ ক্ষমতায় থাকলে মোংলার উন্নয়ন হয়। বন্দরের উন্নয়ন হয়েছে। ইপিজেড হয়েছে, শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। সেই সাথে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে।
আর বিএনপি এবং জামায়াতের শাসনামলে এই বন্দর ধ্বংস হয়েছে। দিনের বেলায় একের পর এক খুনের ঘটনায় মানুষের মাঝে ভীতি সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ বাড়ি ঘর বিক্রি করে পালিয়ে গেছে। তাই এই খুনিদের আর ক্ষমতায় না আনতে নেতা কর্মিদের আহবান জানান তিনি।
পরে আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহুর মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকলের মাঝে উন্নত খাবার বিতরণ করেন চিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী আকবর হেসেন সহ দলীয় নেতা কর্মীরা।